কুড়িগ্রামের উলিপুরে দলদলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন সদস্য। উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে বুধবার বিকেলে এই অনাস্থা প্রস্তাবের আবেদন করা হয়েছে।
আবেদন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দলদলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শপথ নেয়ার পর পরই সদস্যদের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ করে গোপন রাখেন। অথচ সদস্যদের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে ইউপি সদস্য মোঃ নুরুজ্জামানকে ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়।
নদী ভাঙ্গন কবলিত ৩৩ ব্যাক্তির জন্য অনুমোদিত ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরনের সময় মাথা পিছু ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা আদায় করেছেন ওই চেয়ারম্যান। টি আর এর ২টি প্রকল্পে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎ সহ ইজিপিপি প্লাস প্রকল্পে ৩০ জনের আর্থিক সুবিধা নিয়ে তার নিজস্ব ৯ নং ওয়ার্ডে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
ইউনিয়ন পরিষদ হতে প্রাপ্ত ভাতা সদস্যদের মাঝে বিতরণ না করে সচিবের সাথে যোগসাজস করে হোল্ডিং ট্যাক্স সহ বিভিন্ন উৎস হতে আয়ের টাকা আত্মসাৎ করেন।
এমনকি রেশনকার্ডধারী মৃত ব্যাক্তিদের কার্ডগুলো তাদের পরিবারে প্রতিস্থাপন না করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ৯ নং ওয়ার্ডে স্বজন প্রীতির মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এসব অভিযোগ নিয়ে চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী সরকার ও সদস্যদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দ্বন্দের ফলে ১১ জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বাধ্য হন বলে জানান, অনাস্থা প্রস্তাবকারী সদস্য মোঃ নুরুজ্জামান।
ইউপি সচিব বিষ্ণু কুমার জানান, পরিষদের বার্ষিক আয় ৫৫/৫৬ হাজার টাকা হওয়ায় সদস্যদের ভাতা দেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা বলেন, ডকেট পাইনি, পেলে তদন্তের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।