একপাক্ষিক ও ‘পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। নির্বাচনে শেষের এক ঘণ্টায় ১৫.৪৩ শতাংশ ভোটসহ মোট ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্রাকিং’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তুলে ধরেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বুধবার (১৬ জানুয়ারী) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজেদের কার্যালয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষক মাহফুজুর হক, নেওয়াজুল মওলা, সাজেদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন— লক্ষ্মীপুরে ছেলের হাতে মা খুন
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ ১৫টি নিবন্ধিত দলের অনুপস্থিতি ও তাদের নির্বাচন বর্জনের কারণে বেশিরভাগ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। অন্তত ২৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।
এটা ছিল নির্বাচন কেন্দ্রীক প্রাথমিক গবেষণা প্রতিবেদন। পরবর্তীতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে টিআইবি। গবেষণায় ৫০টি আসন দৈবচয়ন পদ্ধতিতে বাছাই করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সকল বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন— বিএনপি অন্ধকার গলিপথ খুঁজে বেড়ায়ঃ শেখ হাসিনা
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একপাক্ষিক ও পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। সংসদে ব্যবসায়ী আধিপত্যের মাত্রাও একচেটিয়া পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বেশিরভাগ আসনেই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। অন্তত ২৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।
বিএনপিসহ ১৫টি নিবন্ধিত দলের অনুপস্থিতি ও তাদের নির্বাচন বর্জনের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উৎসবমুখর দেখাতে ক্ষমতাসীন দল বিবিধ কৌশল গ্রহণ করে। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেশি ছিল। ২৬৬ জন দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র ২৬৯ জন।