চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে বহুল প্রতীক্ষিত রেল চলাচল উদ্বোধনের পর ট্রেনে কক্সবাজার স্টেশন থেকে রামু স্টেশনে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টা ২৩ মিনিটে কক্সবাজারের রেলওয়ে স্টেশনে নিজের হাতে ট্রেনের টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী।
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়ক ও বিমান পথের মাধ্যমে কক্সবাজারে এতোদিন আসা গেলেও আজ থেকে যুক্ত হলো নতুন এক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয়েছে কক্সবাজার। সমুদ্রের এই শহরে রেলস্টেশনের ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন—
দুপুর ১টায় উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে ১টা ২১ মিনিটে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সবুজ পতাকা নেড়ে এবং হুইসেল বাজিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন তিনি। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ওই ট্রেনে ওঠেন সরকারপ্রধান।
১টা ২৮ মিনিটে ট্রেনটি প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে কক্সবাজার রেল স্টেশন থেকে রামু রেল স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী রামু স্টেশনে পৌঁছান। রামুতে পৌঁছে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন—
এ ট্রেনযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কৃষক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। যাত্রার সময় প্রধানমন্ত্রী ট্রেনটির বিভিন্ন বগি ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং সফরসঙ্গীদের খোঁজখবর নেন।
এর আগে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নবনির্মিত ১০২ কিলোমিটার রেললাইন এবং এই রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার রেল স্টেশন উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন—
রামু স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী রামু সেনানিবাসে যান। সেখান থেকে তিনি যাবেন মাতারবাড়ি।
প্রধানমন্ত্রী সেখানে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলের উদ্বোধন করবেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বহুল প্রতীক্ষিত দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
পরে বিকেলে মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের টাউনশিপ মাঠে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন।
ওই কর্মসূচিতে যোগদানের পর প্রধানমন্ত্রী আকাশপথে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফিরে আসবেন।