বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শাজাহানপুর থানার শহীদবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির মহাসমাবেশের দিন পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা এবং পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত রোববার শাজাহানপুর থানায় মামলা করে পুলিশ। এতে মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ৮ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় মির্জা আব্বাস ও আলালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন— বিএনপিকে শিক্ষা দেয়া হবে, তারা সন্ত্রাসী দলঃ প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পুলিশ হত্যার মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের নামে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলার আসামি মির্জা আব্বাস ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
আরও পড়ুন— একনেকে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার ৩৭ প্রকল্প অনুমোদন
উল্লেখ্য, শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় সমাবেশ করে। দুপুরের পর কাকরাইল এলাকায় বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এসময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি তুলতে যাওয়া অনেক সাংবাদিককে তখন মারধর করা হয়। একদল যুবক কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে ঢুকে কয়েকটি মাইক্রোবাসে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এরপর পুলিশ বড় ধরনের অ্যাকশনে যায়। এক পর্যায়ে ধাওয়া দিয়ে তারা নয়াপল্টনের মহাসমাবেশও পণ্ড করে দেয়। পরে নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন মোড় ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ-বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়।