বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। শহর কেন্দ্রীক বাতাসের গুণগত মান ও দূষণের মান অনুযায়ী ঢাকার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৪ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে পড়েছে। তবে বেলা বারোটার দিকে দুইয়ে নেমে এসেছে ঢাকা। শীর্ষে উঠেছে কাতারের রাজধানী দোহা।
১৭৬, ১৭২ এবং ১৬৫ একিউআই স্কোর নিয়ে যথাক্রমে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, চীনের সাংহাই এবং কাতারের দোহা।
আরও পড়ুন— পরিবেশ নিয়ে আমরা কতটা সচেতন?
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন— ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।