আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকা জাপান (নারিতা) সরাসরি বিমান যোগাযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এজন্য সরকার কাজ করছে। এ সময় প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) জাপানের টোকিওতে হোটেল ওয়েস্টিন এ প্রবাসী জাপানিদের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগে বাংলাদেশ বিমানের করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিমানের সেবা ভালো হয়েছে এবং বিমানকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
তিনি বলেন, জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত্তি রচনা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাপানের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। স্মরণ করেন বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিক্রমায় জাপানের অবদানের কথা।
বাংলাদেশ জাপানের দ্বি পাক্ষিক সম্পর্ক আরো মজবুত ও শক্তিশালী হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা দু:সময়ে পাশে ছিলেন। তাদের সম্মান জানিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা নিজেরাই নিজেদের সম্মারিত করেছি।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান স্মরণ করে তাদের দেশে বিনিয়োগের আহ্আন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়েছে। দেশে বিনিয়োগ করুন। যেসব দেশে তাদের দেশের প্রবাসীরা বিনিয়োগ করেছে, সে সবচেয়ে উন্নত হয়েছে।
আরও পড়ুন- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-জাপান
তিনি বলেন, বারবার হত্যার জন্য আমার ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে। এখনও দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসে লুটপাট করার জন্য। তাদের সময়ে দেশ পিছিয়েছে। ‘৯৬ সালে যেখানে আওয়ামী লীগ সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করে, সেখানে পরবর্তীতে বিএনপি ক্ষমতায় এসে খাদ্য ঘাটতি পরিণত করে।
৩০টাকা করে এক কোটি লোককে ৩০ টাকা করে কেজি চাল কেনার ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ৪১ সালের দারিদ্রের হার ১৮ এর নিচে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র ২৫ থেকে ৫ ভাগে নামিয়ে এনেছি। সবার জন্য গৃহ ও ভুমি দেয়া হয়েছে। ট্রেনিং ও ঋন দিয়ে জীবন পাল্টে দেয়া হচ্ছে । হিজলা, বেদে সম্প্রদায়ের মতো ভাসমান জনগোষ্ঠীকে সরকার গৃহ ও ভুমির আওতায় এনেছি। একটি লোকও গৃহহীন থাকবে না।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ৮ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
এ সময় শিক্ষার উন্নয়নে এবং শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি ও যুগোপযোগী সবুজ কারখানার নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।
একটি প্রযুক্তি সম্পন্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এই খাতে ব্যাপক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন তিনি।
এ সময় দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এক ইঞ্চিও যাতে অনাবাদি না থাকে সেজন্য জাপানি প্রবাসীদের দেশে তাদের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলার আহ্বান জানান তিনি।
একমাত্র আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের চর্চা করে এবং ধারন করে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রপতি এতো শান্তিপূর্নভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং দায়িত্ব নেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ রাজকীয় বিদায় দিয়েছে প্রেসিডেন্টকে।