নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন চলাকালে হামলা ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব মহাবিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন স্থলে দ্বিতীয় অধিবেশন চলাকালে সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম গ্রুপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. কৌশিক সাহা জানান, আহত ৯ জনকে চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত রশিদ শেখের মাথার ডানপাশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তবে তা গুলি কি না তা এখানো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- তালায় আর্জেন্টিনা সমার্থকদের ৬০০ হাত পতাকা নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম অধিবেশন শেষে বিকেল পাঁচটার দিকে কমিটি গঠনের জন্য দ্বিতীয় অধিবেশন বসে কলেজের একটি কক্ষে। সন্ধ্যার কিছু আগে মাঠে এ কে এম এ আউয়ালের অনুসারীদের সঙ্গে শ ম রেজাউল করিমের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় দুটি গুলির শব্দ শোনা যায়। পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা কমপক্ষে ১০টি মাইক্রোবাস ভাঙচুরসহ প্রতিপক্ষের ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুর থেকে এ কে এম এ আউয়ালের সঙ্গে আসা এক ব্যক্তি দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে গুলি করেছেন। যুবলীগ নেতা মোঃ আবদুর রশিদ শেখ (৪৩) এর মাথায় গুলি লেগেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহমেদ অভিযোগ করেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। এ সময় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। গোলাগুলি মন্ত্রীর লোকজন করেছেন।
আরও পড়ুন- নওগাঁর মান্দায় বীজ-সার পেল ৪ হাজার কৃষক
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, আমি কাউকে গুলি করতে দেখিনি। তবে গুলি করা হয়েছে বলে কয়েকজনকে চিৎকার করে দৌড় দিতে দেখেছি। হামলা ও সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন খানকে সভাপতি ও আশুতোষ ব্যাপারীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন।
আফজাল হোসেন দুই পক্ষের সংঘর্ষের ব্যাপারে তিনি জানান, আমরা সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের জন্য কমিটি গঠন নিয়ে কলেজের একটি কক্ষে ছিলাম। বাইরে কী হয়েছে, তা আমি জানি না।