২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার প্রকাশিত রুটিনে দেখা গেছে আগামী ১৭ আগস্ট বাংলা প্রথম পত্রের মধ্য দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়ে লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। এবং ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত নয়টি সাধারণ বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক পরীক্ষাগুলো সাধারণত রবিবার বা বৃহস্পতিবার শুরু হয়। দীর্ঘ অনেক বছর ধরে এ প্র্যাকটিস হয়ে আসছে। সে হিসেবে ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই তারিখে সাধারণ ৯টি শিক্ষাবোর্ডের পাশাপাশি মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষাও শুরু হবে।
আরও পড়ুন- যে কারণে নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের মাস্ক পরতে বলা হয়েছে
বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, ২০১০ সাল থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের কারণে এ সময়সূচিতে বাধা আসে। করোনার কারণে আগের পরীক্ষা সূচি এলোমেলো হয়ে যায়। ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখ এবং ২০২২ সালের পরীক্ষা শুরু হয় ৬ নভেম্বর। পিছিয়ে যাওয়া এই পরীক্ষা ধীরে ধীরে এগিয়ে আনার পরিকল্পনা হাতে নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত হয় ২০২৩ সালের পরীক্ষা জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় নেওয়া হবে। কিন্তু কলেজগুলো সিলেবাস শেষ করতে না পারায় এই পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে এখন আগস্টের মাঝামাঝি নেওয়া হবে বলে জানান বোর্ড কর্মকর্তারা।
পরীক্ষার্থীদের যেসব নির্দেশনা মানতে হবে-
* পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
* প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
* ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (MCQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (CQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
* ব্যবহারিক বিষয় সম্বলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি (MCQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল (CQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।
* প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
* পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে সংগ্রহ করবে।
* প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, কোনও অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনও প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। বিষয় কোড ইত্যাদি ও এমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
আরও পড়ুন- উল্লাপাড়ায় পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু
* পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
* প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনও অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
* কোনও পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
* পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর (Non programmable) ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।
* পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না।
পরীক্ষার রুটিন দেখতে এখানে ক্লিক করুন অথবা নিচে দেখনিঃ-