আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইশেষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২২ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এর আগে জানা গিয়েছিল, ১৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। নতুন করে আরো তিনজন যুক্ত হয়েছেন এই তালিকায়।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে ২২ জেলায় ২২ জন রয়েছেন। তারাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র বাছাইশেষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্য একীভূত করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৈরি করা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এবার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১৬২ জন। বাছাই শেষে বৈধতা পেয়েছেন ১৪২ জন। সাধারণ সদস্যপদে ১ হাজার ৯৮৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাদের মধ্যে বৈধতা পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪২ জন। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্যপদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৭১৫ জন। তাদের মধ্যে বৈধতা পেয়েছেন ৬৭৩ জন।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের
চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন এমন জেলাগুলো হলো – কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, বরগুনা, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট।
নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে একজন করে সাধারণ সদস্যও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন বলে জানা গেছে ইসির প্রতিবেদনে। নির্বাচনের আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারদের। রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধরা আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন। এ প্রক্রিয়া শেষে কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবেন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ২৬ সেপ্টেম্বর আর ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর।