রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ফাতেমা আক্তার (১৯) নামের এক তরুনীকে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় সোমবার (৩১ আগষ্ট) সকালে একই বাড়ীর যুবক রায়হানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে রিমান্ডের জন্য-আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। নির্মম এঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কেরোয়া ইউপির লুধুয়া গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ীতে। উল্লেখ্য- গত ১৯ জুলাই বিকালে নীজ ঘর থেকে ঝুলন্তবস্তায় ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় ওইদিনই নিহতের বড় বোন সারাবান তহুরা বাদী হয়ে একই বাড়ীর রায়হানসহ তার মা, ভাবি ও ছোট ভাইকে আসামি করে মামলা করেছিলেন।
নিহত ফাতেমা আক্তার একই গ্রামের মৃত. সিরাজুল্লাহ ভুঁইয়ার মেয়ে এবং আটক রায়হান একই এলাকার শরিফুল ইসলামের বখাটে ছেলে।
পুলিশ জানান, কেরোয়া ইউপির লুধুয়া ভূঁইয়া বাড়ির ফাতেমা আক্তারকে মাথায় আঘাত ও গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ীর যে কোন ব্যাক্তি। হত্যা মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রভাহিত করতে ফাতেমার বসতঘরের উত্তর পশ্চিম পাশের কর্নারে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এঘটনায় নিহতের বড় বোন সারাবান তহুরা বাদী হয়ে রায়পুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। একমাস দশ দবন পর মেডিকেল রিপোর্ট আমাদের হাতে আসে। এতে ফাতেমার মাথায় আঘাত ও তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ্য করা হয়েছে। পরে এমামলায় একই বাড়ীর রায়হান নামের এক যুবককে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল জলিল বলেন, মেডিকেল রিপোটে হত্যা আসায় একই বাড়ীর রায়হান নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। তখনই বলা যাবে কারা ও কেন ফাতেমাকে হত্যা করেছে এব্য রহস্য উদঘাটন হবে।