রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :
যে মূহর্ত্বে হতদরীদ্র মানুষের খাবারের প্রয়োজন সে মূহুর্ত্বে (২৭ মার্চ) রায়পুরের স্বঘোষিত মানবতার নেতা ব্যবসায়ী কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে অবস্থানরত অবস্থায় রায়পুরের মানুষের জন্য ২৭ হাজার মাস্ক পাঠিয়েছেন। এতোদিনে অবশ্য বিভিন্ন ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে রায়পুরের প্রায় সকলের কাছেই পৌঁছে গেছে লিফলেট সহ মাস্ক। আর যারা পাননি তারা স্ব-উদ্দ্যোগেই কিনে নিয়েছেন। অতীত কর্মকান্ডে দেখা যায়, এমপি পাপুল যত দানই করেছেন প্রত্যেক দানের ক্ষেত্রেই তার ছবি ও নামের প্রচার ছিল লক্ষণীয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের করোনার মাস্কেও সুন্দর ভাবে ছেপে দিয়েছেন ওনার নাম।
এ বিষয়ে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইব্রাহীম কাকন বলেন, বাজারে মাস্কের দাম বৃদ্ধির কারনে স্যারের নির্দেশে গার্মেন্টস্ এর গেঞ্জীর কাপড়ের ঝুট (ফেলে দেওয়া অংশ) কিনে সেগুলি সেলাই করে মাস্ক বানিয়েছি। প্রতিটি মাস্কের দাম পড়েছে ৩টাকা। আর এমপি স্যারের টাকায় মানুষকে ফ্রি মাস্ক দিবে তাতে ওনার নাম থাকবে না কি অন্যকারো নাম থাকবে?
এবিষয়ে বাজারের ভ্যানচালক মফিজ বলেন, আমি এ পর্যন্ত বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ১১টি মাস্ক পেয়েছি। ওগুলি অনেক সুন্দর আর দামী। এমপি সাহেবের মাস্কতো রায়পুর বাজারের ফুটপাতের দোকানে ৫টাকা করে পাওয়া যায়। এইটার মধ্যে আবার এমপি’র নাম লিখার কি দরকার ছিল? ওনার টাকা হলেও জ্ঞান বুদ্ধি কম আছে আর সাথের চামচারাও বেক্কল।
আ’লীগ নেতা ইসমাইল বলেন, মানুষের নাকের ডগায় এমপি’র নাম লাগিয়ে রায়পুরের মানুষকে নাকে দঁড়ি দিয়ে ঘোরানোর কূ-বুদ্ধি মনে হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে রায়পুরের যত্রতত্র হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে চলছে তোলপাড়। বিষয়টি এখন রায়পুরের “টক অফ দ্যা টাউন”।
এদিকে পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা এমপি (আসন -৩৪৯) তার পৈত্রিক এলাকা মেঘনায় আরো অনেক দামী মাস্ক সহ নানান সামগ্রী বিতরণ ও এলাকাজুড়ে জীবানুনাশক ওষুধ ছিটিয়েছেন।