শফিউল আজম চৌধুরী (জুয়েল), রায়পুর থেকে :
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। শহীদদের পবিত্র রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষা। একটি ভাষা, একটি জাতির বড় পরিচয়, যা আমরা পেয়েছি শহীদদের আত্ম উৎসর্গের মধ্য দিয়ে। লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ভাষার মাসেও অবহেলিত অবস্থায়, ইটের বিশালাকার স্তুপ আর ময়লা আবর্জনার গোডাউনে পরিপূর্ণ হয়ে আছে খোদ উপজেলা কমপ্লেক্সের সীমানার অভ্যন্তরে দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি। ব্যবহার হচ্ছে ময়লা ও ভাংগারী মালের বেশ কয়েকটি ভ্যান গাড়ির গ্যারেজ হিসেবে। এ চিত্র দেখা যায় সারা বছর ধরে।
সেসংগে বছর জুড়ে ব্যবহার হয় পাশের বিশাল অট্টালিকার প্রভাবশালী মালিকের নির্মাণ সমগ্রী রাখার স্থান হিসেবে। শহীদ মিনারটির সুরক্ষায় নেই কোন সীমানা প্রাচীর। ফলে কুকুড়, বিড়াল আর ছাগলের মল-মূত্র আর বিশ্রামের স্থান এ শহীদ মিনারের মূল বেদী। দেখার যেন কেউ নেই।
তবে হ্যাঁ, প্রতি বছর ১৫/১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এর রক্ষণাবেক্ষনে নজড় দেন উপজেলা প্রশাসন। চলে ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর পর্যন্ত, এরপর থেকে আবার অবহেলিত।
এলাকার সচেতন মহল রায়পুরে ভাষা শহীদদের সম্মানে নির্মিত উপজেলার কেন্দ্রীয় এ শহীদ মিনারটির দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, সংস্করণসহ নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করার দাবী জানান প্রশাসনের প্রতি।
তাঁরা বলেন, নির্দিষ্ট একটি দিনই নয়, সারা বছর ধরে যেন শহীদ মিনারটি এ অঞ্চলের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে সকল মানুষের মনে শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করবে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিৎ প্রশাসনের।