কুড়িগ্রামের উলিপুরে ১৩ বছর যাবৎ লাভে লোকসানে ব্রয়লার মুরগির ফার্ম চালিয়ে আসছেন হাবিবুল্লাহ নামের এক ব্রয়লার মুরগির ফার্ম খামারি।
সরেজমিন উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের পশ্চিম কিশোরপুর তেলিপাড়া গ্রামের এক পোল্ট্রি ফার্ম খামারি প্রায় ১৩ বছর যাবৎ লাভে লোকসানে চালিয়ে আসছেন এ ব্রয়লার মুরগীর খামারটি। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০ শতক জমির ওপর গড়ে তুলেছেন উক্ত ব্রয়লার মুরগীর খামারটি। খামারটিতে প্রায় ৬ থেকে ৭টি শেড রয়েছে। উক্ত শেড গুলোতে প্রায় ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার মুরগী রয়েছে। শেড গুলো থেকে ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে মুরগী বিক্রয়ের জন্য উপযোগী হয়ে আসে। এভাবে বছরে প্রায় ৯ থেকে ১০ বারে ৫৪ থেকে ৬০ টি শেড হয়ে থাকে জানান তিনি।
আরও পড়ুন- টি-২০ বিশ্বকাপঃ হেলসকে আউট করলেন শাহিন আফ্রিদি
উক্ত খামার দেখভাল করা আব্দুল আজিজ বলেন, এ পোল্ট্রি ফার্ম খামারটি প্রায় ১৩ বছর যাবৎ চালিয়ে আসছি। কখনো লাভ আবার কখনো লোকসানের মধ্যে পড়ে আছি। আব্দুল আজিজ বলেন খামার দিয়েছি তাই সবকিছু মেনে নিতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন পোল্ট্রি খাদ্যের অনেক দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পোল্ট্রি খামার চালানো অনেক কষ্ট হয়ে পড়েছে। পোল্ট্রি মুরগীর অনেক ধরনের রোগ বালাই হয়ে থাকে। এ সমস্ত রোগ বালাই থেকে রেহাই পেতে যদি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে পরামর্শ পেতাম তাহলে অনেক লাভবান হতাম বলে জানান তিনি। তিনি বলেন গত বছর আমাদের শেডের সকল মুরগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল। তাতে অনেক ক্ষতির মুখে ও আর্থিক সংকটে পরেছিলাম বলে জানান তিনি। এখন পর্যন্ত সে আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পাইনি।
আরও পড়ুন- মানবতার ঘর এর উদ্যেগে অসহায় নারীকে অনুদান হিসাবে ছাগল প্রদান
উক্ত খামারি মালিক হাবিবুল্লাহ বলেন, বর্তমান ৬ থেকে ৭ টি শেডে মুরগী আছে প্রায় ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার। এ সকল মুরগী ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে বিক্রয়ের জন্য উপযোগী হয়ে উঠে। এখন এ সকল মুরগীর বয়স হয়েছে প্রায় ২০ দিন। আর মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিন হলেই বিক্রয়ের জন্য উপযোগী হয়ে উঠবে। তখন ৫ হাজার মুরগির ওজন হবে প্রায় ১০ হাজার কেজি। এ শেড ক’টিতে ৫ হাজার মুরগির জন্য মোট খরচ হবে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। বিক্রয়ের উপযোগী হওয়ার পর কেজি প্রতি পাইকেরিতে বিক্রি হবে প্রায় ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। মোট বিক্রি হবে প্রায় ১৩ লক্ষ থেকে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। শেড গুলো থেকে ৩০ থেকে ৩৫ দিনে লাভের আশা করেন প্রায় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন আমাকে সরকারি ভাবে আর্থিক কিংবা ব্যাংক থেকে ঋণ সহায়তা করলে আমার পোল্ট্রি খামারটির প্রশারতা বৃদ্ধি করে প্রোটিনের যোগান দিতে পারতাম বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রেজোয়ানুল হক বলেন, পোল্ট্রি ফার্ম ব্রয়লার মুরগী খামারীরা সাধারণত ডিলারদের সাথে যোগাযোগ রাখে যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য। যখন অতিরিক্ত মাত্রায় রোগ বালাই দেখা দেয় তখন আমাদের সংগে যোগাযোগ করলে আমরা সরকারি ভ্যাক্সিন দিয়ে থাকি। এ ছাড়া আমরা খামারিদের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে থাকি বলে জানান তিনি।”