জয়ের জন্য ১৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ইংল্যান্ড হার্ড হিটার ওপেনার অ্যালেক্স হেলসকে হারান। পেসার শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিংয়ে সজোড়ে হিট করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন হেলস।
শিরোপা জয়ের স্বপ্নপূরণ হবে কোন দলের? এই মুহূর্তে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। পাকিস্তান যে রান করেছে তাতে জয় পাওয়টা খুবই কষ্টের হবে। তবে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত করেছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানকে রানের বহর বাড়াতে দেয়নি তারা। পাকিস্তান ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করেই ইনিংস শেষ করে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ২১ রান করেছে ইংল্যান্ড।
আজ রাববার (১৩ নভেম্বর) ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলছে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা নামা পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করে।টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরুটা ভালো করলেও পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায়। স্যাম কারানের বলে ইনসাইডেজ বোল্ড হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৪ বলে একটি ছক্কায় ১৫ রান করেন এই ব্যাটার। পাকিস্তান দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে মোহাম্মদ হারিসকে হারিয়েছে। অষ্টম ওভারে আদিল রশিদের বলে বেন স্টোকসকে ক্যাচ দেন ৮ রান করা এই ডানহাতি। এরপরই দলীয় হাফসেঞ্চুরির দেখা পায় পাকিস্তান।
আরও পড়ুন- টি-২০ বিশ্বকাপঃ বাবর-ইফতিখারের বিদায়ে ৪ উইকেট নেই পাকিস্তানের
১৩তম ওভারে চতুর্থ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ১২তম ওভারে আদিল রশিদের বলে তাকেই ক্যাচ দেন বাবর আজম। ২৮ বলে ২টি চারে ৩২ করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। পরের ওভারে শূন্য রানে বেন স্টোকসের বলে আউট হন ইফতিখার আহমেদ।
দলীয় শতকের পর শান মাসুদ ও শাদাব খান ৩৬ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ১৭তম ওভারে বিদায় নেন শান মাসুদ। স্যাম কারানের দ্বিতীয় শিকারে তিনি লিয়াম লিভিংস্টোনকে ক্যাচ দেন। ২৮ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৮ করেন মাসুদ। পরের ওভারেই ক্রিস জর্ডানকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন ২০ রান করা শাদাব খান।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খ্যাত মোহাম্মদ নওয়াজও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫ রানে তিনি স্যাম কারানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। শেষ ওভারে ক্রিস জর্ডানের বলে ফেরেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।
দারুণ বল করা কারান ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট তুলে নেন। ২২ রানে ২টি উইকেট নেন আদিল রশিদ। ২টি উইকেট পান জর্ডানও।
পাকিস্তান: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।
ইংল্যান্ড: জস বাটলার (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), অ্যালেক্স হেলস, ফিল সল্ট, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী, স্যাম কারান, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ।