দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরে এক নারী শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ।
গত বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে চিরিরবন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বজলুর রশিদ ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলার রানীরবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন- বড়াইগ্রামে আধুনিক কৃষি যন্ত্রাংশ ও প্রনোদনা বিতরণ
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন- চিরিরবন্দর উপজেলার ঠাকুরের মোড় মুন্সিপাড়া এলাকার মিজানুর রহমান মিজান (২৮), একই উপজেলার নশরতপুর দেউরীপাড়া এলাকার দিলীপ রায় (২৩), নশরতপুর ডাঙাপাড়া এলাকার সোহেল রানা (২৫) ও পার্বতীপুর উপজেলার রাজাবাসর ভুতপুকুর এলাকার নূর আলম (২২)।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ভিকটিম উপজেলার রানীপুর ডাঙ্গাপাড়া এতিমখানায় ইসলামী মাহফিল শোনার জন্য যান। সেখানে মিজানুরের সঙ্গে তার দেখা হয়। রাণীরবন্দর চুলের ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ করার সুবাদে মিজানুরের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল ও সম্পর্ক ছিল। তারা দুইজনে পায়ে হেঁটে নসরতপুর আসলে ফাঁকা জায়গায় নির্জন বাঁশঝাড়ে গিয়ে মিজানুর তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় আসামি দিলীপ রায়, সোহেল রানা ও নুর আলম তাদের আটক করে। তখন কৌশলে মিজানুর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এরপরে ওই তিনজন ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন- ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বিষয়টি নিশ্চিত করে চিরিরবন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বজলুর রশিদ জানান, ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে থানায় এজাহার দাখিল করলে আমরা বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করি।
তিনি আরও জানান, চিরিরবন্দর থানা মামলা নম্বর ১৩ (৯ নভেম্বর) রুজু করে আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং ভিকটিমের ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।