পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার মারা গিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে মৃত্যু বরন করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিলো ৮৫ বছর।
পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ইউসুফ হাসনাত জাকী জানান, অমূল্য রঞ্জন সকালে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে তাকে চিকিৎসা ও অক্সিজেন দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন- মদনে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের করা পৃথক মামলায় বিএনপির ৭৩ জন কারাগারে
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, আজ সকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পরামর্শ দিলে পিরোজপুর জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একে.এম.এ. আউয়াল, পৌরসভা মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপী সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে ছুটে আসেন। তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শম রেজাউল করিম অমূল্য রঞ্জনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন- বিদেশি প্রভুদের ইঙ্গিতে বিশৃঙ্খলা করতে চায় বিএনপিঃ মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
অমূল্য রঞ্জন হালদার কর্মজীবনে এস.হক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতা জীবন শেষে তিনি নাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।
সবশেষ তিনি নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। আজ রাতে নাজিরপুরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
নাজিরপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অমূল্য রঞ্জন হালদারের স্ত্রী ও এক ছেলে আগে মারা গেছেন। বর্তমানে তার দুই ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।