‘মা আমাকে বিষ দাও, আমি আর ব্যথার যন্ত্রণা সইতে পারছি না’– এভাবেই মায়ের কাছে আকুতি জানিয়ে আসা রাশি আক্তার মারা গেছে। রোববার সে বালালী গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যায়। সেই রাশি আক্তার আজ রবিবার (৩০অক্টোবর) তার নিজ বাড়িতে মারা গেছেন।
সে উপজেলার বালালী গ্রামের ভ্যানচালক মোলামিন খানের মেয়ে। ২০২১ সালে বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করলেও কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়নি। গত এক বছর আগে তার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। বাবার টাকা না থাকায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিল দীর্ঘদিন ধরে।
রাশি আক্তারের স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করবে, গরিব অসহায় বাবা – মায়ের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দিবে কিন্তু সেই আশা আর পুর্ণ হল না রাশি আক্তারের।
আরও পড়ুন- মেয়র রুবেল ভাটসহ ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেত্রকোণার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়ের বালালী গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক মোলামিন মিয়ার মেয়ে রাশি। এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হওয়ার আগেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তারের কাছে গেলে জানতে পারে রাশির দুইটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
এবিষয়ে মেয়েটির বাবা মোলামিন খান জানান, মেয়ের চিকিৎসার জন্য যা সম্বল ছিল সব বিক্রি করে দিয়েছি। মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। চিকিৎসার জন্য টাকা যোগাড় করা এখন আর সম্ভব হচ্ছিল না তারপরেও চেষ্টা করেছি কিন্তু আজ মেয়েটি মারা যাওয়াতে এখন আমার ভিক্ষা করে খাওয়া ছাড়া আর কিছুই রইলো না। আমি আমার পরিবারের পাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আবেদন করছি।
৬ নং তিয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান জানান, মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিল। তাকে চিকিৎসা করার জন্য আমি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু অনুদান এনে দিয়েছিলাম এবং আমরা ইউনিয়ন পরিষদের যদি কোন অনুদান আসে তাহলে এই পরিবারটিকে সহায়তা করার চেষ্টা করবো।