biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ XDurbar দূর্বার 1st gif ad biggapon animation বিজ্ঞাপন এ্যানিমেশন biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
ঢাকাSaturday , 29 October 2022
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
  • বিএনপির সমাবেশঃ রংপুরে আজ; ভোগান্তি পথে পথে

    জে এম আলী নয়ন
    October 29, 2022 4:37 am
    Link Copied!

    রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আজ শনিবার (২৯ অক্টোবর)। দলের কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত এ সমাবেশ জেলার কালেক্টরেট মাঠে বেলা ২টায় শুরুর কথা রয়েছে। আগে থেকেই সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন অনেক নেতাকর্মী।

    এদিকে মহাসড়কে নসিমন, করিমন, থ্রি-হুইলারসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ এবং রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কে ‘প্রশাসনিক হয়রানি’ বন্ধের দাবিতে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রংপুর পরিবহন মালিক সমিতি।এতে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল। বিভিন্ন বাস টার্মিনালে আটকা রয়েছে শত শত বাস। ফলে পথে পথে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ জনগণ। অন্যদিকে হঠাৎ বাস বন্ধের ঘোষণায় দৈনিক মজুরিতে কর্মরত শ্রমিকরাও পড়েছেন বিপাকে।

    বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিতে দলের নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে। এই ধারাবাহিকতায় আজ রংপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে দলটি।

    আরও পড়ুন-  নকশা খোদাইকৃত ২৭০০ বছরের শিলালিপির সন্ধান

    এতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা গণসমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

    এদিকে, গণসমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে রংপুর মহানগরীসহ বিভাগের সকল সাংগঠনিক জেলায় এবং বিভিন্ন উপজেলায় প্রস্তুতি সভা করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হারুন উর রশিদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিবসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে থাকতে দেখা গেছে।

    তারা সমাবেশের মঞ্চ নির্মাণসহ অন্যান্য প্রস্তুতি এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেন। এদিকে রাস্তায় আসার পথে বিভিন্ন স্থানে গাড়ি থামিয়ে পুলিশের তল্লাশি ও সমাবেশে আসতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

    রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) কমিশনার নূরে আলম মিনা বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছি। সমাবেশ ঘিরে যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে, সে জন্য কয়েক দফায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

    আরও পড়ুন-  শর্ত পূরণ করলে অন্য নামে জামায়াত নিবন্ধন পাবে

    রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, ধর্মঘটসহ যত বাধাই আসুক মানুষ সমাবেশে উপস্থিত হবেন। গণসমাবেশে যে জনস্রোত হবে তা এই ধর্মঘট দিয়ে আটকানো যাবে না।

    রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, সরকারি হস্তক্ষেপে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সরকারি দলের মূল উদ্দেশ্য সমাবেশে আসা লোকজনকে বাধা দেওয়া। পরিবহন ধর্মঘট কোনোভাবেই নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসা ঠেকাতে পারবে না। পূর্বের সমাবেশগুলোর উপস্থিতিই তার প্রমাণ।

    ধর্মঘট উপেক্ষা করে রংপুরমুখী বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় বাড়ছে॥ বাস ধর্মঘটের ঘোষণায় একদিন আগেই দূরের জেলার নেতাকর্মীরা রংপুরে এসে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরুর আগেই বাস ও ট্রেনে তারা রংপুরে এসেছে। অনেক নেতাকর্মী মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা ও ট্রেনে রওনা হয়েছেন। বিভিন্ন জেলার নেতারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

    রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক জানান, সাংগঠনিক জেলা দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সৈয়দপুর থেকে নেতাকর্মীরা যেভাবে পারছে রংপুরে আসছেন। বাস ধর্মঘট ঘোষণার পর স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেতাকর্মীরা রওনা দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন-  আ.লীগের ওপর মানুষের আস্থা রয়েছেঃ প্রধানমন্ত্রী

    সড়ক পথে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদ ও তিন চাকার যানবাহনসহ মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে রংপুর বিভাগে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। শুক্রবার ভোর ছয়টার পর থেকে রংপুরে কোন আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি।

    বিএনপির গণসমাবেশের দুদিন আগে হঠাৎ করে রংপুর মোটর মালিক সমিতির ডাকা এ ধর্মঘটের কারণে অন্যান্য জেলার সব পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে রংপুরের সঙ্গে সারা দেশের পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

    এদিকে বিএনপির নেতারা বলছেন, চট্টগ্রাম, ময়মনসিং ও খুলনার পর এবার রংপুরেও সরকারের পক্ষ থেকে বাঁধা সৃষ্টি করতে ধর্মঘট দেয়া হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ব্যাহত করতে এ ধরনের কার্যক্রম দিয়েছেন তারা। তবে ধর্মঘটসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশে লাখ লাখ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত হবেন বলে আশা তাদের।

    রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি একেএম মোজাম্মেল হক বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তার জন্য পরিবহন মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আইন করেছে। কিন্তু রংপুরের মহাসড়কগুলোতে এখনো মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। এ জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এমন অবস্থায় মহাসড়কে এসব যান চলাচল বন্ধের জন্য আমরা কয়েকটি সংগঠন মিলে সভা করে শুক্রবার ভোর থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুরের সব রুটে পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছি। তবে এই ধর্মঘট সরকারের পক্ষ থেকে ডাকা ধর্মঘট নয় বলে দাবি করেন এই শ্রমিক।

    আরও পড়ুন-  গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন, তদন্ত প্রতিবেদন ইসিতে

    দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় নীলফামারীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে আটকা রয়েছে কয়েক শ’ বাস। নীলফামারীতে শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে যা চলবে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। জেলার বিভিন্ন সড়কে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটে বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে অটোরিক্সা, ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহন চলতে দেখা গেছে।

    সাধারণ যাত্রীরা অভিযোগ করে বলছে, শনিবার রংপুরে বিএনপির মহাসমাবেশ বানচাল করতে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে জনগণকে জিম্মি করা হয়েছে। আমরা রাজনীতি করি না, তাহলে কেন এই দুর্ভোগ?

    রংপুরে বিএনপি কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল। শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে রংপুর মহানগরীর বেতপট্টির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি।

    তবে আওয়ামী লীগের এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, আমরা কারো বিলবোর্ডের ওপর বিলবোর্ড সাটাইনি। আমরা সিটি করপোরেশন থেকে বিলবোর্ডের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিলবোর্ড সাটিয়েছি।

    এর জন্য তাদের তিন দিনের ভাড়াও দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে আমাদের ব্যানার দিয়েছি, তারা বিলবোর্ডে সেগুলো সাটিয়েছে। এখন কার বিলবোর্ডের ওপর বিলবোর্ড সাটানো হয়েছে, এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।

    শীর্ষসংবাদ/নয়ন

    biggapon বিজ্ঞাপন

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ  
  • আমাদেরকে ফলো করুন…