XJatyo XBudget cover বাজেট কভার
ঢাকাSaturday , 6 August 2022
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন-বিচার
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া ও কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যাম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
biggapon বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
  • শেয়ার করুন-

  • মাছ উৎপাদনে সেরা তিন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

    Link Copied!

    দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন, রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসারে অবদান রাখছে মৎস্য খাত। এছাড়াও বর্তমানে দেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ জোগান দিচ্ছে মাছ।

    স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। বিশ্বে স্বাদুপানির মাছের ১১ শতাংশ এখন বাংলাদেশে উৎপাদন হচ্ছে। চাষের মাছ উৎপাদনে সেরা তিন দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। তালিকার অন্য দুই দেশ ভিয়েতনাম এবং মিশর।

    মৎস্য আহরণ ও উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গৌরবের অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ তৃতীয়, বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম, ইলিশ আহরণে ১ম ও তেলাপিয়া উৎপাদনে ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে। ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার, ২০২২’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও চাষের মাছ উৎপাদনে তিনটি দেশ বিশ্বের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করছে। এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম এবং আফ্রিকায় মিশর এই সাফল্য দেখিয়েছে।

    বর্তমানে দেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ জোগান দিচ্ছে মাছ। মাথাপিছু প্রতিদিন ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে মানুষ এখন ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম মাছ গ্রহণ করছে। দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ এখন মৎস্য খাতের অবদান।

    বিগত ১২ বছরে মৎস্য খাতে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট মাছের উৎপাদন ছিল ২৭ দশমিক ১ লাখ মেট্রিক টন, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে হয়েছে ৪৬ দশমিক ২১ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সামুদ্রিক মাছের অবদান ৬ দশমিক ৮১ লাখ মেট্রিক টন, যা দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে।

    এদিকে বিশ্বে ইলিশ আহরণকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে। ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এবং নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ। বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের ১২ দশমিক ২২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশের অধিক, যা একক প্রজাতি হিসেবে সর্বোচ্চ। ২০১৭ সালে ‘বাংলাদেশের ইলিশ’ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই সনদ লাভ করেছে। ফলে পৃথিবীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের অধিক ইলিশ আহরণকারী বাংলাদেশ এখন থেকে বিশ্বে উপস্থাপিত হবে ইলিশের দেশ হিসেবে।

    বাংলাদেশ থেকে প্রধানত গলদা, বাগদা, হরিণাসহ বিভিন্ন জাতের চিংড়ি; স্বাদুপানির মাছ যেমন- রুই, কাতলা, মৃগেল, আইড়, টেংরা, বোয়াল, পাবদা, কৈ প্রভৃতি এবং সামুদ্রিক মাছের মধ্যে ভেটকি, দাতিনা, রূপচাঁদা, কাটল ফিশ, কাঁকড়া ইত্যাদি রপ্তানি হয়। এছাড়া শুঁটকি মাছ, মাছের আঁশ এবং চিংড়ির খোলসও রপ্তানি হয়। বর্তমানে চাষসহ প্রাকৃতিক উৎস থেকে আহরিত কাঁকড়া ও কুঁচিয়া বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ  
  • আমাদেরকে ফলো করুন…