বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিয়ে শঙ্কা গভীর হচ্ছে। দুর্ভিক্ষের শঙ্কাও রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত, জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে ক্রমে জটিল রূপ নিচ্ছে খাদ্য সরবরাহ চেইন ও মূল্য পরিস্থিতি। এই সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই আজ রোববার (১৬ অক্টোবর) পালিত হতে যাচ্ছে “বিশ্ব খাদ্য৷ দিবস”।
কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়, ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’ স্লোগানে বাংলাদেশে বিভিন্ন সংগঠন আজ দিবসটি পালন করছে।
এদিকে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), আইএমএফ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস আগামী দিনে খাদ্য নিয়ে সংকটের বার্তা দিচ্ছে। এর বাইরে নেই বাংলাদেশ। এফএওর হালনাগাদ এক প্রতিবেদনে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার হুমকিতে থাকা বিশ্বের ৪৫টি দেশের তালিকার মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আছে ৯টি দেশ, যার মধ্যে বাংলাদেশসহ তিনটি দেশ দক্ষিণ এশিয়ার।
আরও পড়ুন- মাঠে গড়াল শেখ রাসেল ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) এক জরিপে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হয়েছে।
বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেছে সার ও কৃষিপণ্যের সরবরাহ চেইনেও। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোয় অভ্যন্তরীণ নানা কারণ এ সংকট আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদ ও খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যথাযথ প্রস্তুতি নিলে বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাব তুলনামূলক কম পড়বে।
আগামীকাল সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয় এ দিবস পালনের জন্য কর্মসূচি নিয়েছে। ওই দিন সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্ত থাকার কথা রয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁরা খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দা ও খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশে যাতে দুর্ভিক্ষ না হয়, সে জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের মূল্যস্ম্ফীতিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত আগস্টে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ম্ফীতি ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছে। সেপ্টেম্বরে খানিকটা কমলেও তা ৯ শতাংশের বেশি আছে। উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান হলো, গ্রামে মূল্যস্ম্ফীতি শহরের চেয়ে বেশি।