কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে বিপুল জনসমাগম করে আলোচনায় আসার তিন দিন পর শনিবার ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আজ শনিবার (১৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ও শ্রমিকেরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
পরিবহন মালিকরা দাবি করে জানাচ্ছেন, আজ শনিবার (১৫ অক্টোবর) ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ রয়েছে। এ সমাবেশে পরিবহন বা বাসে হামলা-ভাঙচুরের আশঙ্কা রয়েছে। তাই তারা আজ ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ এবং ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী সব বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহগামী কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে সকাল থেকে টার্মিনালটিতে ময়মনসিংহগামী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির একজন বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশ শেষে পরিবহন শ্রমিকদের ওপর হামলা এবং বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ ময়মনসিংহে বিএনপি সমাবেশে একই ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিকরা।
আরও পড়ুন- গুচ্ছ ভর্তির আবেদন শুরু ১৭ অক্টোবর, ফি ৫০০ টাকা
এদিকে, গণপরিবহন না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। রাজধানীর আবদুল্লাহপুর মোড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গণপরিবহনের দেখা পাচ্ছেন না তারা। আবদুল্লাহপুর মোড়ে ময়মনসিংহ বিভাগের জেলা জামালপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুরের বাস পাওয়া যায়। কিন্তু সকাল থেকে বাস না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে, পুলিশের একটি চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভ্যানগাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। আজ সকাল ১০টার দিকে গণমাধ্যমের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।
শায়রুল কবির খান বলেন, পুলিশের চেকপোস্টে ভ্যানগাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক শ্রমিক কারখানায় যেতে পারেননি। অধিকাংশ কারখানায় অর্ধেক শ্রমিক প্রবেশ করতে পারেনি।
এ সময় সমাবেশে যাওয়ার জন্য ভালুকা থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রাস্তায় গণপরিবহন নেই বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শহরের মাসকান্দায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সমাবেশে আসা বাধাগ্রস্ত করতে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও তারা বিভিন্নভাবে, অটোরিকশায় করে ও পায়ে হেঁটে সমাবেশে এসেছেন।