গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) ভাগাভাগি সঠিক হয়নি বলেই নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় এটা গতকাল গাইবান্ধায় জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনেই প্রমাণ হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন- সুতরাং নির্বাচনে কী হলো না হলো এটা নিয়ে বিএনপি মাথা ঘামাবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে রাষ্ট্রের প্রতিটি দপ্তরকে দুর্নীতিমুক্ত, জনগণের অধিকার আদায় ও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা একটি ছক এঁকেছি। এই ছক নিয়েই আমরা চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করেছি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
আরও পড়ুন- ম্যাজিস্ট্রেট ও ফরিদপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, নারীসহ গ্রেফতার ৭
সাংবাদিকদের উপর একটি বড় খড়গ এসেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২৯টি বিভাগ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ভবন থেকে সেতু বিভাগ, রাজস্ব বিভাগ পর্যন্ত রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলো তালিকা করা হয়েছে। এই বিভাগগুলোর সম্পর্কে সাংবাদিকরা ইচ্ছা করলেই কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না, তথ্য নিতে পারবে না আর কোনো কিছু লিখতে পারবে না। এটা সাংবাদিকদের জন্য দুঃসংবাদ। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একেবারেই শেষ করে দিচ্ছে সরকার। কেউ একটা প্রতিবাদও করেনি।
দুর্ভিক্ষ নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, সামনে যদি দুর্ভিক্ষ হয় তাহলে তিনি (শেখ হাসিনা) প্রধানমন্ত্রী আছেন কেন? দুর্ভিক্ষ নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব তার। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে আপনারা খাবার কম খান, পানি কম খান, গ্যাস-বিদ্যুৎ কম খরচ করেন তাহলে তিনি যদি দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করতে না পারেন তাহলে আছেন কেন? পদত্যাগ করুন।
এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈয়মুর রহমান, সহ-সভাপতি মোঃ ইউনুস আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুম নাহার প্যারিসসহ বিএনপির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।