লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে একটি বরযাত্রীবাহী নৌকা ডুবে গেছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) রাত সোয়া ৮ টার দিকে রামগতি উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরআবদুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলটি নদীর তীর থেকে ১০০ থেকে ১৫০ ফুট দূরত্বে। ফলে নৌকায় থাকা ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিরাপদে কূলে উঠতে পেরেছে।
নৌকার কোন যাত্রী নিখোঁজ নেই বলে জানায় স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন, মহিউদ্দিন মেম্বার বলেন, বুধবার চর আবদুল্লাহর বাসিন্দা কালু মাঝির ছেলে সোহাগের বিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নারী, শিশু ও পুরুষ সহ ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক একটি নৌকা যোগে উপজেলার মূল ভূখন্ড আলেকজান্ডারে যায়। সেখান থেকে সোহাগের নতুন শ্বশুর বাড়ি চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের আজাদনগরের হাজীগঞ্জ এলাকায় যায় তারা। বিয়ের পর্ব শেষে রাতে নববধূকে নিয়ে নৌকা যোগে বাড়ি ফেরার পথে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজারের কাছাকাছি গেলে নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়। পরে সেটি আবার উল্টো হয়ে ভেসে উঠে।
তারা বলেন, ঘটনার সময় নদীতে ভাটা ছিল এবং ঘটনাস্থলটি নদীর খুব কাছাকাছি হওয়ার স্থানীয়রা নৌকার যাত্রীদের উদ্ধার করতে সক্ষম হন। এতে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। নৌকাটিও টেনে তীরে তোলা সক্ষম হয়েছে বলে জানান তারা।
নৌকার যাত্রীদের এক নোমান চৌকিদার বলেন, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বর-কনে এবং বরযাত্রীদের নিয়ে নৌকাটি আলেকজান্ডার থেকে রওনা হয়। আমিও ওই নৌকাতে উঠি। মাঝপথে নৌকার ইঞ্জিনের জ্বালানি তেল ফুরিয়ে যায়। পরে জাহাজের একটি স্পিড বোর্ড খবর দেওয়া হয়। সেটিতে যাত্রীবাহী নৌকাটি বেঁধে নেওয়ার পর একটি খালের মুখে যাওয়ামাত্র পানির গোল্লার মধ্যে পড়ে নৌকাটি উল্টে ডুবে যায়।
তিনি বলেন, আমরা সবাই নিরাপদে কূলে উঠতে পেরেছি
রামগতির বড়খেরী নৌ-পুলিশের ইনচার্জ ফেরদৌস আহম্মেদ বলেন, নৌকাতে ৩০-৩৫ জন যাত্রী ছিল। সবাই নিরাপদে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে।