ঢাকাSunday , 9 October 2022
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • লক্ষ্মীপুরে দ্বিতীয় ইন্দোনেশিয়ার তরুণী

    Link Copied!

    বাংলাদেশি তরুন মামুন হোসেন ও ইন্দোনেশিয়ার তরুনী সিতি রাহাইউ। দুইজনেই মালয়েশিয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। চাকুরির সুবাদে তাদের পরিচয় ও প্রেম। সেই প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন সিতি রাহাইউ নামের এই ইন্দোনেশিয়ান তরুণী। শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে মালয়েশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে নামেন তারা দুইজনই। সেখান থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামে মামুন হোসেনের বাড়িতে পৌঁছান।

    সিতি রাহাইউ ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ে বসবাসকারি মৃত জুমিরান ও রাতনারিং দম্পত্তির মেয়ে (পাসপোর্ট নাম্বার (C81547..)। তিনি মালয়েশিয়ার রাজধানিতে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মামুন হোসেন রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের রফিক উল্লাহ ও সেতারা বেগমের ছেলে। তিনিও একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন।

    জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর আগে চাকুরির সুবাধে সিতির সঙ্গে মামুনের পরিচয় এরপর বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা। একপর্যায়ে দূরত্ব ঘুচিয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

    মামুন জানান, ২০১৭ সাল থেকে তাদের পরিচয় ও প্রেম করার পর বিয়ের জন্য সুদূর মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে পাড়ি জমান সিতি রাহাইউ। এক মাসের ছুটি নিয়ে এসেছেন সিতি ও মামুন। ছুটি শেষে চলে যেতে হবে আবার মালয়েশিয়া। সিতি রাহাইউও বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে আগ্রহী।

    রোববার দুপুরে (৯ অক্টোবর) লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট শাকিল পাটোয়ারির সহযোগিতায় নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিড ও নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী মোঃ ইব্রাহিম খলিলের মাধ্যমে মামুনের বাবার উপস্থিতিতে সিতি রাহাইউ এর সাথে বিবাহের কাজ সম্পাদন করা হয়। বিয়ের পর তারা রায়পুরে মামুনের কেরোয়ার বাড়িতে গেলে বাড়ির প্রতিবেশি ও স্বজরনা আনন্দ উল্লাশ করে। এসময় মামুনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প করছেন সিতি রাহাইউ।

    এডভোকেট শাকিল পাটোয়ারী জানান, মামুনের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন সিতি। তার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। বিষয়টি তিনি তার অভিভাবকদের জানিয়ে এসেছে। তার আত্মীয়রা তাদের দুইজনকে বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানান। তিনি এ দেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ। সিতি রাহাইউ অল্প অল্প বাংলা বুঝতে পারেন, তবে বলতে পারেন না ও বাংলা শেখার চেষ্টা করছেন।

    মামুনের বাবা রফিক উল্লাহ জানান, এখানে আসার পর থেকে পরিবারের সবার সঙ্গে খুব মিশে চলছে সিতি। সবাইকে আপন করে নিয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্বজনরা ও গ্রামের মানুষ ভিড় করছে সিতিকে দেখার জন্য।

    সিতি শীর্ষ সংবাদকে-জানান, মামুনের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন। তিন লক্ষ টাকায় দেনমোহরে মামুনের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তিনি এ দেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ।

    মামুনের মা সেতারা বেগম জানান, এখানে আসার পর থেকে পরিবারের সবার সঙ্গে খুব মিশে চলছে সিতির। সবাইকে আপন করে নিয়েছে। এ ছাড়াও ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্বজনরা ও গ্রামের মানুষ ভিড় করছে সিতিকে দেখার জন্য।

    উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ বিকালে প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে ছুটে আসেন ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া নামে এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী। সেখান থেকে রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামে রাসেল আহমদের বাড়িতে পৌঁছান। ফানিয়া ইন্দোনেশিয়ার দিপক এলাকার পাউদি হেলমি ও ফিসুনয়াদি ইসনা ওয়াপি দম্পতির মেয়ে। তিনি সেখানে একটি কল সেন্টারে চাকরি করেন। রাসেল আহমেদ রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে। পেশায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। সেই দম্পত্তি এখন সুখের সংসার করছেন ঢাকা শহরে।।

    শীর্ষ সংবাদ ডেস্কঃ

    শীর্ষ সংবাদ ডেস্কঃ

    প্রতিবেদক

    ঢাকা

    সর্বমোট নিউজ: 750

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
  • আমাদেরকে ফলো করুন…