ভয়াবহ হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। শনিবার (০৮ অক্টোবর) সারা দেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মৌসুমে সর্বোচ্চ ৭১২ জন রোগী।
আর এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বেশিরভাগ হাসপাতালে ভর্তি রোগী বেড়েছে দেড়গুণেরও বেশি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগী ও স্বজনরা। আর হটস্পট ম্যানেজমেন্ট করতে না পারলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বরের বাসিন্দা নাজনীন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। পাশের শয্যায় ভর্তি একই এলাকার আরেক বাসিন্দা অজুফা বেগম।
একই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এক সপ্তাহ ব্যবধানে ভর্তি রোগী বেড়েছে ৬০ শতাংশ। আর এটিই সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির প্রতীকী চিত্র। চলতি মাসের প্রথম আট দিনেই দেশে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সাড়ে ৪ হাজার রোগী। এর মধ্যে শনিবার ছিল মৌসুমে সর্বোচ্চ ৭১২ জন। অন্যদিকে গত মাসেও ভর্তি রোগী ছিল প্রায় ১০ হাজার। যা ২০১৯ এর সেপ্টেম্বরের পর এক মাসে সর্বোচ্চ। হাসপাতালে দেখা গেল ডেঙ্গুতে কাবু সব বয়সীরাই।
আরও পড়ুন- ‘শাড়ি পরলেও তো পেট দেখা যায়’, খোলামেলা পোশাকে ট্রোলড হয়ে ফুঁসে উঠলেন ‘কাঁচা বাদাম’ খ্যাত অঞ্জলি
সিটি করপোরেশনকে কাঠগড়ায় তুলে রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, রাজধানীর প্রায় সব এলাকা থেকে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও মশক নিধনে চোখে পড়েনি কোনো কার্যক্রম।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তাসনীম জাহান যুথিকা বলেন, এবার তরুণরাও সহজে কাবু হচ্ছেন ডেঙ্গুতে। আবার অনেকে শুরুতে গুরুত্ব না দেয়ায় দেখা দিচ্ছে নানা জটিলতা।
আর সারা বছরই ডেঙ্গু থাকার শঙ্কা প্রকাশ করে হটস্পট ব্যবস্থাপনার জোর দেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবীরুল বাশার।- সময় টিভি