ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে ব্যর্থ টাইগাররা ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে। এ ম্যাচে বাংলাদেশ দলে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফিরলেও পরাজয় এড়াতে পারেনি।
আজ রোববার (৯ অক্টোবর) ক্রাইস্টচার্চে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে। তবে নুরুল হাসান সোহানের শেষের ঝড়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করেছে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ এ ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। সাকিব ছাড়াও একাদশে এসেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও শরিফুল ইসলাম। তাদের পরিবর্তে বাদ পড়েছেন সাব্বির রহমান, নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড ইনিংসে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন শরিফুল ইসলাম। দলীয় চতুর্থ ওভারের শেষ বলে এই পেসার ওপেনার ফিন অ্যালেনকে ১৬ রানে মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যাচ বানান। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৬ বলে ৮৫ রান তোলেন ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসন। তবে দলীয় ১০০ রানের পর হাসান মাহমুদ ফেরান কিউই অধিনায়ক কিন উইলিয়ামসনকে। কেন ২৯ বলে একটি চারে ৩০ রান করেন। তবে ওপেনার ডেভন কনওয়ের ৫১ বলে মারকুটে ৭০ রানে জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড। তিনি ৭টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। আর ৯ বলে দুটি চার ও সমান ছক্কায় ঝড়ো ২৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন গ্লেন ফিলিপস।
আরও পড়ুন- উলিপুরে আলোকিত শিশুকণ্ঠ পরিষদে ঈদে মিলাদুন্নবী উৎযাপন
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজ। টিম সাউদির বলে অ্যাডাম মিলনেকে ক্যাচ দেন ৫ রান করা এই ব্যাটার। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস দলকে হাফসেঞ্চুরি পাইয়ে দেন। এই জুটি ৩৫ বলে ৪১ তোলে। কিন্তু এরপরই বিদায় নেন লিটন। মিচেল ব্রেসওয়েলের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৫ রানে থাকা লিটন। নতুন ওপেনার হিসেবে আসা নাজমুল হোসেন শান্ত তুলনামূলক ভালোই খেলছিলেন। তবে কিউই স্পিনার ইশ সোধির শততম টি-টোয়েন্টি উইকেটের শিকার হন এই ব্যাটার। ২৯ বলে ৪টি চারে ৩৩ করা শান্ত মার্ক চ্যাপম্যানকে ক্যাচ দেন। মোসাদ্দেক হোসেন ও ইয়াসির আলী কেউই সুবিধে করতে পারেননি। মোসাদ্দেক ব্যক্তিগত ২ রানে সোধির দ্বিতীয় শিকার হন। আর ব্রেসওয়েলের বলে আউট হন ইয়াসির (৭)।
আফিফের ব্যাট আজ শুরু থেকেই ধুঁকছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি ২৬ বলে ২৪ করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হন। সাকিব ফিরে বড় কিছু করতে পারেননি। ১৬ বলে একটি চারে সমান ১৬ করে সাউদির বলে ক্যাচ তুলে দেন।
সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা নুরুল হাসান সোহান শেষ দিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন। তিনি ১২ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। কিউই বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পান বোল্ট, সাউদি, ব্রেসওয়েল ও সোধি।