জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পাঁচটি ফটকের মধ্যে তৃতীয় ফটকের সামনে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড বানিয়ে দখলরত অবস্থায় রেখেছে বিভিন্ন বাস কোম্পানি গুলো। চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরতদের।
নিরাপত্তা কর্মীর সংকট দেখিয়ে তৃতীয় ফটকটি বহু দিন ধরেই বন্ধ রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বেশিরভাগ সময় প্রধান ফটক দিয়েই ক্যাম্পাসে ঢুকছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু প্রধান ফটকের সামনে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে বাসস্ট্যান্ডের ঘটনা নজিরবিহীন। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ফটকের সামনে বিভিন্ন রুটের বাস অবৈধ ভাবে রেখে যাত্রী উঠানোর ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাফেরায় অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এখানে প্রতিনিয়ত দেখা যায় সদরঘাট থেকে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যাত্রী বহনকারী বিহঙ্গ, সাভার পরিবহন, আজমেরী গ্লোরী, ভিক্টোর ক্লাসিক, তানজিল সহ অনেক যানবাহন দিয়ে তৃতীয় ফটকের সামনে দখল করে রাখতে।
এ নিয়ে এক শিক্ষার্থী জানান,’মেইন গেটের সামনে গোল চত্বর পাড় হওয়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। দুপাশ থেকে গাড়ি আসা শুরু করে। তৃতীয় গেইটের সামনে বাস এমন ভাবে দাঁড়ানো থাকে গেট ওই খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি খালা থাকলে খুব সহজেই সামনের ছোট রাস্তাটি পাড় হয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে।’
অন্য এক শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী জানান, ‘করোনার আগে এই ফটকটি খোলা থাকায় নির্বিঘ্নে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পেরেছি। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান তা আবার খুলে দেওয়ার জন্য।’
আরও পড়ুন- লন্ডনে রানি এলিজাবেথের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
তৃতীয় ফটক বন্ধ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানানো হলে তিনি দাবি করেন, ‘গেইট সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ পর্যন্ত খোলা। বন্ধের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। সিকিউরিটি অফিসার নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে গেইট খোলা রাখবে’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গেইট খোলার কথা বললেও এবছরে ভর্তি পরীক্ষা বাদে তা কখনো খোলা হয়নি।
অবৈধ বাসস্ট্যান্ড নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমরা এর আগেও অভিযান চালিয়েছি। বাসস্ট্যান্ড উচ্ছেদে আবারো অভিযান চালাবো।’
উল্লেখ্য, মাসে পর মাস পড়া হলেও কার্যকারী কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তথ্য আছে একটি অসাধু চক্র বাস মালিকদের থেকে চাঁদা আদায় করে তাদের এ সুযোগ করে দিচ্ছে।