লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ শিশুপার্ক চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্মীপুর সীমানা পর্যন্ত ওয়াপদা সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ কিলোমিটার। দীর্ঘ দেড় যুগেও এই সড়কটি সংস্কার বা কোনো ধরনের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এর ফলে সড়কের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ও ভেঙে গিয়ে পুরো রাস্তাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন রামগঞ্জ পৌর এলাকার একাংশসহ দাসপাড়া, লামচর, বেড়ি বাজার, পানপাড়া, ডাগ্গাতলি, ফতেহপুরসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু ভাঙাচোরা সড়কের কারণে তারা প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছেন পথচারী ও যাত্রীরা। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করা শিক্ষার্থীরাও নিত্যদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। আর্থিক ও শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম, আবু সালেহ, ওমর ফারুকসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, বিগত দিনের প্রায় সব জনপ্রতিনিধিগণ উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছেন, এলাকাবাসীকে প্রলোভন দেখিয়েছেন সড়কটি সংষ্কার করা হবে। কিন্তু ভোটের পর তারা এ এলাকার ধারেকাছেও আসেননি। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হলেও এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কখনো কমেনি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি এখন এতটাই খারাপ অবস্থায় যে হাঁটা চলাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, ভাঙাচোরা সড়কের কারণে সামাজিক জীবনেও প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক কন্যাদের বিয়েতে সমস্যা হচ্ছে। সড়ক দিয়ে এখন রিকশা কিংবা সিএনজি চালিত অটোরিকশা পর্যন্ত চলাচল করে না। ফলে লোকজনকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বিকল্প পথে চলাচল করতে হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা জানান, সর্বশেষ ২০০৭ সালে নামমাত্র সংস্কার হয়েছিল এই সড়কের। এরপর থেকে আর কোনো জনপ্রতিনিধি আন্তরিক হয়ে হয়ে সড়কটি সংষ্কারে এগিয়ে আসেননি। আশঙ্কা প্রকাশ করে তারা দাবী জানান, সড়কটি যদি অতি দ্রুত সংস্কার না করলে একসময় এটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সাজ্জাদ মাহমুদ খাঁন বলেন, আমি একাধিকবার সড়কটি সংস্কারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি। সার্ভেও করেছি এবং চাহিদাপত্রও পাঠিয়েছি। সড়কের দুই পাশ এতটাই ভাঙা যে সংষ্কার করতে হলে বিশাল অঙ্কের টাকা প্রয়োজন। তবে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ সড়ক সংস্কারের বিষয়ে একটি বার্তা পেয়েছি। আশা করছি শিগগিরই সুখবর পাওয়া যাবে।





