দুই দশকেরও বেশি সময় আগে পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় গৃহবধূ ডালিয়া বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী টিটুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ টাকা। এছাড়া এ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় টিটুর মা আমেনা বেগম ও তার ভাই শাহ আলমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১০ আগস্ট) ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা দেন।
রায় ঘোষণার আগে টিটু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনালের সহকারী পিপি হারুনুর রশিদ জানান, অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় টিটুর মা আমেনা বেগম ও তার ভাই শাহ আলমকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালে ডালিয়াকে বিয়ে করার পর থেকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করেন টিটু ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় ডালিয়া মামলা করেন। পরে মামলা প্রত্যাহার করে ফের সংসার শুরু করেন ডালিয়া।
এরপর টিটু ও তার পরিবারের সদস্যরা ফের ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। আর তা না পেয়ে ২০০২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ডালিয়ার শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় টিটু। আর এ কাজে সহযোগিতা করেন টিটুর ভাই শাহ আলম, বোন জীবনী, ভাই মোস্তফা, মা আমেনা বেগম। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান ডালিয়া।
এর মধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর ডালিয়ার বাবা রোস্তম আলী কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৩ সালের ৬ জানুয়ারি টিটুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই জাফর আলী।
এরপর ওই বছরের ১৩ মার্চ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। বিচার চলাকালে আদালত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রোববার রায় ঘোষণা করা হলো।



