প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ‘জাতীয় সংস্কারক’-এর মত কোনো উপাধি চাননি বলে তার কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সরকারপ্রধান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দপ্তর থেকে এ বক্তব্য আসার কারণ হলো গত ফেব্রুয়ারিতে মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ও চব্বিশের অভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা চেয়ে করা এক রিট আবেদন করা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে এই রিট আবেদনটি করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ইমদাদুল হক।
গতকাল সোমাবার ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রুল জারি করে আদালত জানতে চেয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ ও ওয়াসিমসহ অন্যদের কেন ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হবে না। এবং আন্দোলনে শহীদদের ‘প্রকৃত ও নির্ভরযোগ্য’ তালিকা করে তা গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না।
চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, হাই কোর্টের রুলের বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে। সরকার আদালতের আদেশ পাওয়ার পর রুলের জবাব দেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সরকার স্পষ্ট করে বলতে চায়, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এ ধরনের কোনো উপাধি পাওয়ার ইচ্ছা নেই এবং সরকারও এ ধরনের উপাধি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না। রিট আবেদনটি ব্যক্তিগত জায়গা থেকে করা হয়েছে বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়া কীসের ভিত্তিতে এ ধরনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে, তাও পরিষ্কার নয়।”
বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর থেকে দেখভাল করা হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।





