টাঙ্গাইল :
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার সিলিমপুরে-এলেংজানী সড়কে নির্মিত সেতুর এক পাশের সংযোগ সড়ক পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়ায় আশ-পাশের ১০ গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ।
সোমবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকালে সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার পর থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।
স্থানীয়রা জানায়, বন্যার শুরুতেই সেতুর আশ-পাশে নদী ভাঙন দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সেতুর কিছু অংশ ভেঙে গেলেও সংযোগ সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। পুনরায় নদীর পানি কমতে থাকায় আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে এলেংজানী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর একপাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আশ-পাশের ১০টি গ্রামসহ চরাঞ্চলের মানুষ যোগাযোগে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সিলিমপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র তাইজুল ইসলাম জানান, সংযোগ সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় তারা বিদ্যালয়ে যাতায়াতে মারত্মক অসুবিধার শিকার হচ্ছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় এলেংজানী নদী পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। সংযোগ সড়কের স্থানে বাঁশের সাকোঁ তৈরি করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানান তিনি।
মাইঠান ও দেউলি গ্রামের হাবিব, হাফিজুল, সবুজ জানান, এলেংজানী নদীতে পানি বাড়ার সময় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পানি কমতে থাকায় সেতুর সংযোগ সড়কটি ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
দেউলী ইউপি চেয়ারম্যান তাহমিনা আকতার জানান, ভেঙে যাওয়া সেতু দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় সেতুর এক পাশের সড়ক ভেঙে গেছে।
দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান মারুফ জানান, দ্রুত ওই সংযোগ সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা প্রয়োজন। আগে জানানোর পর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব ছিল। উপজেলা পরিষদ থেকে গত দুই বছরে বার বার মৌখিকভাবে জানানোর পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জনদুর্ভোগ লাঘবে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।