সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ধানের শীষের জোয়ার উঠে গেছে। এ জোয়ারকে কেউ রুখে দিতে পারবেনা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লক্ষ্মীপুর শহরের আউটার স্টেডিয়ামে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
একটি রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে আমির খসরু মাহমুদ বলেন, তারা মনে করছে- তারা বর্তমান ব্যবস্থায় একটু ভালো আছে, তাদের গণতন্ত্রের প্রয়োজন নাই। আসলে তাদের সংস্কারেরও প্রয়োজন নাই। যারা নিজেরা সংস্কার করতে পারবে না, অন্যদের দিয়ে সংস্কার করাতে চায়, তাদের রাজনীতি করার কোন দরকার নাই। তাহলে প্রত্যেকবার বাংলাদেশে সংস্কার যখন করতে হবে, তাহলে সব রাজনীতিবিদদের বিদায় দিয়ে কিছুদিনের জন্য রিটায়ার্ডে যাবে। তারপরে একটা অন্তর্বর্তী সরকার আসবে, আবার সংস্কার হবে। তাহলে রাজনীতির দরকার কি আছে। সে সমস্ত রাজনৈতিক দলের অতটুকু বিশ্বাস নেই, ক্ষমতা নাই, যোগ্যতা নাই, তাদের রাজনীতি করার কোন দরকার নাই।
বলেন, আগামী দিনে যতগুলো সংস্কার প্রয়োজন, সেটাই বিএনপির দ্বারাই সম্ভব। আপনাদের দ্বারা সম্ভব নাও হতে পারে। এ জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাত বছর আগে ‘ভিশন টুয়েন্টি-থার্টি’র মাধ্যমে সংস্কারের কথা বলেছেন। ১০ বছর আগে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। আগামী নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করে যাদেরকে সাথে নিয়ে আমরা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি, আমরা সকলে মিলে পার্লমান্টে ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করবো।
তিনি বলেন, তারা একদিকে বলছে, যেখানে ঐকমত্য, সে সংস্কারগুলো করবে। বাকীগুলো আগামী নির্বাচনে পরে হবে। যদি তাই হয়ে থাকে, যে সংস্কারের কথা বললাম- আনুপাতিক নির্বাচনের কোন ঐক্যমত নাই। সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোন ঐক্যমত নাই। সব সংস্কার শেষে নির্বাচন, সে ব্যাপারেও কোন ঐক্যমত নাই।
যে বিষয়গুলোতে ঐক্যমত আছে, সেগুলো এক সপ্তাহে সময় লাগবে। এর বেশি সময় লাগবে না। সুতরাং এ সমস্ত কথা বলে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার যে ষড়যন্ত্র করছেন, সে যড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে।
আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষায় আছে। যুব সমাজ, যারা গত দুই-তিনটি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই, তারা নির্বাচনের অপেক্ষা করছেন৷
সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ (ভিপি হারুন) ও বারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বিএনপির সহ-বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু ও যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।