লক্ষ্মীপুরে চার সাংবাদিকসহ সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব,সাংবাদিক ইউনিয়ন ও চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের যৌথ উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসুচি পালন করে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। এসময় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সাবেক এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল, সাবেক সভাপতি আহম মোস্তাকুর রহমান,কামাল উদ্দিন হাওলাদার, সাধারন সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জহির উদ্দিন,সহ-সভাপতি এমজে আলম,সাধারন সম্পাদক আব্বাছ হোসেন, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সদস্য সচিব আনিস কবির, সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন,,হাবিবুর রহমান সবুজ, চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর নুর ও এমএমমিন প্রমুখ। এসময় জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্্র ও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিকরা।্
এসময় বিএনপির মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় কারো জন্য কাম্য নয়। যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, তারা সন্ত্রাসী। তারা কোন দলের কর্মী ও সমর্থক হতে পারেনা। অনতিবিলম্ভে জড়িতদের চিহিৃত করে দ্রুত গ্রেফতারের আহবান জানান বিএনপির এন নেতা।
অপরদিকে বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিকরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার পর বর্তমানে পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক। সাংবাদিকদের ওপর হামলা পরিকল্পিত। এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। হামলা ও গুলির উদ্দেশ্যে ছিল সাংবাদিকের হত্যা করা। অনতিবিলম্ভে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িতদের চিহিৃত করুন। এঘটনার সাথে আরো কারা জড়িত রয়েছে, সেটা বের করুন। দ্রুত ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসুচির হুশিয়ারী দেন বক্তারা।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার গনেশ্যামপুর এলাকায় মারামারি ও জমি দখলের সংবাদ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য লক্ষ্মীপুর থেকে দুইটি মোটসাইকেলে যোগে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন চার সাংবাদিক। এসময় দত্তপাড়া কলেজ থেকে কিছুদুর সামনে গেলে গনেশ্যামপুর এলাকায় ৭ জনের একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে তার ওপর ধারালে অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে তার মাথায় পেটে যায়।
এরপর অন্য সাংবাদিকরা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এতে ফয়সাল মাহমুদের গায়ে গুলি লাগে। এসময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা,মোবাইল ও নগদ টাকা পয়সা লুটে নেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ আহত সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম,আলাউদ্দিন,ফয়সাল মাহমুদকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।