“মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সানুগ্রহ বিবেচনার জন্য দুর্নীতি ও দারিদ্র্য মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অনলাইন সেবা (Apps) ভিত্তিক একটি সফল রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাবনা”
১। প্রকল্প গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: ডিজিটাল পদ্ধতিতে রাষ্ট্রীয় সহায়তা বিতরণ, দুর্নীতি ও দারিদ্র্য মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন, দেশের শতভাগ পেশাজীবীকে ভ্যাট-ট্যাক্স ও আয়করের আওতায় নিয়ে আসা, সরকারি ক্রয়, সেবা ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা, ভেজাল পণ্য নিয়ন্ত্রণ, রাষ্ট্রের সর্বস্তরে Apps ভিত্তিক নাগরিক সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের শ্রেণিতে রূপান্তরিত করার আকাঙ্খা নিয়ে আমি ‘Bangladesh Online Service’ নামে সময়োপযোগী একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজন অনুভব করছি।
প্রস্তাবনার অংশবিশেষ নিম্নরূপ:
(ক) Bangladesh Online Service নামে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হলে, বাংলাদেশে সরকারি সহায়তা বিতরণে অনিয়ম, ভ্যাট, ট্যাক্স ও আয়কর ফাঁকি, ভেজাল পণ্য বিপণন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং সরকারি ক্রয়ে দুর্নীতির কোন সুযোগ থাকবেনা। এসব বিষয়ে শতভাগ নিশ্চয়তা সহকারে প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
(খ) এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে, সারাদেশের নাগরিকদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী, নগদ অর্থ বা রাষ্ট্রীয় যে কোন সহায়তা যাদের মাঝে বিতরণ করা হবে, তাদের ছবি, এনআইডি নাম্বার, মোবাইল নাম্বার, পরিবার পরিচিতি নাম্বার, প্রাপ্তি স্বীকারসহ সুবিধাভোগীদের তালিকা ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
(গ) দেশের নাগরিক, পেশাজীবী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান, আমদানি-রপ্তানিকারক এবং পরিবহন সেক্টরকে ১০০% ট্যাক্সের আওতায় এনে ভ্যাট, ট্যাক্স, আয়কর আদায় নিশ্চিত করতে এবং কর ফাঁকি রোধে অনেক গভীর থেকে অনুসন্ধান করে নিশ্চিদ্র সুরক্ষা রেখে এ প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
(ঘ) এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, ‘জাতীয় ক্রয় ভান্ডার’ প্রতিষ্ঠা করে সরকারি সব দপ্তর ও প্রকল্পের চাহিদা অনুযায়ী এম,এস,আর, যন্ত্রপাতি, মিসেলেনিয়াস, স্টেশনারি, মনোহারি মালামাল পৌঁছে দেয়া যাবে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বালিশ ও পর্দাকান্ডের মত নিন্দনীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তির সুযোগ কেউ পাবেনা।
(ঙ) আমার ফর্মুলা অনুযায়ী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে, বাংলাদেশে ভেজাল ওষুধ, নিত্য ব্যবহার্য পণ্য এবং ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বাজারজাত করার কোন সুযোগ থাকবেনা। ভেজাল পণ্য বিপণন রোধে, এ প্রকল্পের রূপরেখায় অনেক গভীর থেকে অনুসন্ধান করে নিশ্চিদ্র সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
(চ) এ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায়, দেশের দুই হাজার পরিবারকে দৈনিক এক লক্ষ টাকা করে (অফেরৎযোগ্য) আর্থিক সহায়তা প্রদান করা যাবে।এতে প্রতিদিন দেশের দুই হাজার পরিবার দারিদ্রমুক্ত হবে।
(ছ) এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে, নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় বরাদ্দকৃত সামগ্রীর সাথে বিতরণের হিসাব হুবহু মিলে যাবে। উদাহরণ স্বরূপ, সারাদেশে বিতরণের জন্য এক কোটি কম্বল বরাদ্দ দেয়া হলে, তা যাদের মাঝে বিতরণ করা হবে তাদের ছবি, এনআইডি নাম্বার, মোবাইল নাম্বার, পরিবার পরিচিতি নাম্বার, প্রাপ্তি স্বীকারসহ ওয়েবসাইটে তালিকা পাওয়া যাবে। বিতরণের বাকী থাকলে ওয়েবসাইটে Stock দেখাবে। বিতরণ শেষ হলে Stock Nil দেখাবে। কেউ একটি কম্বলও আত্মসাতের সুযোগ পাবেনা।
(জ) বিগত সরকার ঘোষিত রূপকল্প (২০২১-২০৪১) এর ৮টি দফার মধ্যে ৫, ৭ ও ৮নং দফা, এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যাবে। তা হচ্ছে- ১. দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন, ২. অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও উদ্যোগ এবং ৩. বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের অবস্থান উন্নত করা।
(ঝ) আমার প্রস্তাবনা অনুযায়ী এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হলে, অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে গিয়ে বিশ্বের সামনে অবিশ্বাস্য এক উন্নত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
(ঞ) এ প্রস্তাবনায় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যাহা আপাতঃদৃষ্টিতে জটিল ও কঠিন মনে হলেও এর সমাধান এবং বাস্তবায়নের ফর্মুলা আমার নখদর্পনে রয়েছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে প্রস্তাবনায় উল্লেখিত সব প্রকল্প শতভাগ সফলতাসহ বাস্তবায়ন করা যাবে।
(ট) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে, অবৈধ আয়ের সাথে জড়িত কিছু মানুষ সরকারের উপর নাখোশ হলেও প্রকল্পের সেবায় সন্তুষ্ট হয়ে দেশের কোটি কোটি মানুষ সরকারের প্রশংসা করবে।
২। সরকারি সহায়তা বিতরণে অনিয়ম প্রসঙ্গে:
আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুযোগে রাষ্ট্রীয় ত্রাণ/সহায়তা বিতরণের সময় নানা ধরনের অনিয়ম দৃশ্যমান হয়ে সরকারি উদ্দেশ্য বিতর্কিত এবং ব্যাহত হয়। বিগত সময়ে ত্রাণ সামগ্রী, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল আত্মসাৎ এবং আর্থিক সহায়তা বিতরণের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের ঘটনায় সারাদেশে ১০০জন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হয়। এতে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে।
(ক) বর্তমানে দেশের নাগরিকদের জন্য শত রকমের সরকারি সহায়তা বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়; একটি সমন্বিত ডিজিটাল তালিকার অভাবে একদিকে কেউ বার বার সরকারি সহায়তা হাতিয়ে নিলেও অন্য দিকে কেউ একবারও সরকারি সহায়তা পাচ্ছেনা। উদাহরণ স্বরূপ, যিনি বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন তিনি আবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর সুবিধাভোগী, তিনি আবার অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান প্রকল্পের সুবিধাভোগী, তিনি আবার কৃষক এবং জেলে তালিকারও সুবিধাভোগী, জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পেরও সুবিধাভোগী। হয়তো তার স্ত্রীও ভিজিডি প্রকল্পের সুবিধাভোগী, তার সন্তান- প্রতিবন্ধী তালিকার সুবিধাভোগী। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল, জাতীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সমাজ সেবা বিভাগ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, কৃষি বিভাগ, খাদ্য বিভাগ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা/বিভাগ থেকেও একই ব্যক্তি, চিকিৎসা সহায়তা, ঢেউটিন, সৌর বিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, সেলাই মেশিন, টিউবওয়েল, শীতবস্ত্রসহ হরেক রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নেন। আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে তারা জরুরী সাহায্যের তালিকায় নাম লিখানোর জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র ও কাউন্সিলরের পিছনে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেন। সাহায্য না পেলে গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিয়ে মানুষ জড়ো করেন, সরকারের সমালোচনায় সরব হন।
(খ) করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ত্রাণ সামগ্রী ও অর্থ সহায়তা বিতরণের তালিকা তৈরিতে অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা বঞ্চিত হতদরিদ্ররা বাদ পড়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের নামও সে তালিকায় স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশে ত্রাণ সামগ্রী এবং সরকারি সহায়তা বিতরণের জন্য তালিকা তৈরিতে সনাতনী নিয়ম চালু থাকায় দুস্কৃতিকারীরা এসব অনিয়ম করার সুযোগ পেয়েছে। যার কারণে ত্রাণ/সহায়তা বঞ্চিত দু:স্থদের মাঝে হাহাকার বিরাজ করেছে।বর্তমানে দেশের প্রতিটি পরিবারে একাধিক সরকারি সহায়তা চলমান থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ডিজিটাল প্রকল্প তালিকার অভাবে কারও সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছেনা। বিগত দিনে রাষ্ট্রের তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সে সব বরাদ্দের সদ্বব্যহার নিশ্চিত হলে এতদিনে বাংলাদেশে দারিদ্র বিমোচন হয়ে যেত।
৩। রাষ্ট্রীয় সহায়তা বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গৃহীতপদক্ষেপ:
এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, দেশে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী কিংবা কোন অঞ্চলে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিলে দুস্থ ও দরিদ্র পরিবার সমূহের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় ইলেকট্রিক ডিভাইসে ফিঙ্গার প্রিন্ট নেবার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সুবিধাভোগীর ছবি, এনআইডি নাম্বার, পরিবার পরিচিতি নাম্বার, মোবাইল নাম্বার, ত্রাণ সামগ্রীর বিবরণ উল্লেখসহ ওয়েবসাইটে প্রাপ্তি স্বীকার সংযুক্ত হয়ে যাবে। কোন ধনী শ্রেণির নাগরিক ত্রাণ সামগ্রী পাওয়ার জন্য তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করলেও ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণের জন্য ইলেকট্রিক ডিভাইসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিলে সফটওয়্যার তা গ্রহণ করবেনা। যার ফলে ধনী শ্রেণির লোকেরা সরকারি ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ করতে পারবেন না।
(ক) আর্থিক সহায়তা বিতরণের জন্য তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের ছবি, এনআইডি নাম্বার, পরিবার পরিচিতি নাম্বার, মোবাইল নাম্বারসহ তালিকা প্রস্তুত করে তালিকার কপি বাংলাদেশ অনলাইন সার্ভিসের সচিব বরাবরে প্রেরণ করার নিয়ম থাকবে। এ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায়, সুবিধাভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেয়া যাবে। ডাকঘর থেকে টাকা উত্তোলনের সময় ইলেকট্রিক ডিভাইসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেবার সাথে সাথে সুবিধাভোগীর ছবি, এনআইডি নাম্বার, পরিবার পরিচিতি নাম্বার, মোবাইল নাম্বার, টাকার পরিমাণ উল্লেখসহ ওয়েবসাইটে প্রাপ্তি স্বীকার সংযুক্ত হয়ে যাবে। কোন ধনী শ্রেণির নাগরিক আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে নিজের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলেও এ প্রকল্পের সফটওয়্যার তাদের একাউন্টে টাকা প্রেরণ করবে না।
(খ) এ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায়, সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, হিজড়া ভাতা, দরিদ্র ও হরিজনদের জন্য ভাতা, দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা সহায়তা, প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণের জন্য প্রকৃত সুবিধাভোগীদের নির্ভুলভাবে বাছাই করা যাবে। ভাতা পাবার যোগ্য নয়, এমন কেউ ভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না। এ ছাড়াও উপবৃত্তি, শিক্ষাবৃত্তি, সরকারি ও বেসরকারি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, পেনশন, প্রণোদনা যার যার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে পৌঁছে দেয়া যাবে। এতে উপবৃত্তির তালিকা থেকে ভুয়া শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভুয়া এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেতন-ভাতার তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। এতে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় রোধ হবে।
(গ) এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল, ওএমএস এবং বিশেষ ওএমএস বিতরণ করা হলে, চাল-আটা চুরি, ওজনে কম দেয়া কিংবা কালোবাজারে বিক্রির কোন সুযোগ থাকবেনা। প্রত্যেক পরিবারের জনসংখ্যা অনুযায়ী চাল বা আটা বিতরণ করা যাবে। সুবিধাভোগীরা ইলেকট্রিক ডিভাইসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে ডিলারের নিকট থেকে চাল বুঝে নিবেন। চালের প্রাপ্তি স্বীকার সুবিধাভোগীর ওয়েবসাইটে সংযুক্ত হবে। যেসব তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগী চাল নিবেন না, তাদের চাল মাস শেষে খাদ্য গুদামে ফেরৎ হিসাবে যোগ হবে। কোন পরিবার বার বার নিতে পারবেনা, কোন পরিবার বঞ্চিতও হবেনা। বর্তমান বরাদ্দ দিয়েই দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।
(ঘ) এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, ভিজিডি, ভিজিএফ (ঈদ), ভিজিএফ (মৎস্য) সহায়তা প্রাপ্তদের চাল বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হলে, প্রকৃত দুস্থ ও নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা যাবে। দুস্থ বা জেলে নয়, এমন কেহ ভিজিডি বা ভিজিএফ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবার সুযোগ পাবেনা। চাল চুরি, ওজনে কম দেয়া কিংবা কালোবাজারে বিক্রির সুযোগ থাকবেনা। সুবিধাভোগীরা ইলেকট্রিক ডিভাইসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টার থেকে চাল বুঝে নিবেন। চালের প্রাপ্তি স্বীকার সুবিধাভোগীর ওয়েবসাইটে সংযুক্ত হবে।
(ঙ) এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, গভীর নলকূপ, সৌর বিদ্যুৎ, ঢেউটিন, কম্বল/শীতবস্ত্র, খেজুর, শিশুখাদ্যসহ রাষ্ট্রীয় যে কোন সহায়তা বিতরণ করা হলে সমাজের দরিদ্র ও অতিদরিদ্র পরিবার সমূহের মাঝে সুষম বন্টন নিশ্চিত করা যাবে। ধনীরা সরকারি ঢেউটিন ও কম্বল/শীতবস্ত্র বরাদ্দ নেবার কোন সুযোগ পাবেন না। সরকারি যে কোন সাহায্য-সহযোগিতা বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়মের সুযোগ চিরদিনের জন্য বন্ধ হবে।
(চ) এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, ভূমিহীনদের মাঝে সরকারি খাস জমি বিতরণ করা হলে ভিত্তশালীরা খাস জমি বন্দোবস্ত নেবার কোন সুযোগ পাবেন না। যার ফলে দেশের কোন মানুষ ভূমিহীন থাকবেনা।
৪। দারিদ্র বিমোচনে গৃহীত পদক্ষেপ:
এ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায়, দেশের দুই হাজার পরিবারকে দৈনিক এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা (অফেরৎযোগ্য) প্রদান করা যাবে। এতে প্রতিদিন দেশের দুই হাজার পরিবার দারিদ্রমুক্ত হবে।
(ক) এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, সারাদেশে চলমান অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর (ইজিপিপি) শ্রমিক মজুরি পরিশোধ করা হলে, সরকারের উপর থেকে দরিদ্রদের চাপ প্রায় অর্ধেক কমে যাবে।
(খ) এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, সারাদেশে নব উদ্যমে ডিজিটাল রেশন শপ চালু করা যাবে। এর ফলে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে হয়রানি করার সুযোগ পাবেনা।
(গ) এ প্রকল্পের বাস্তাবায়ন হলে বাংলাদেশে যে কোন ধরনের খাদ্যপন্য/ ভোগ্যপন্য মজুতদারির মাধ্যমে বাজারে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টির কোন সুযোগ থাকবেনা।উদাহরণ স্বরুপঃ কেন আমদানিকারক ১০০০ টন পিয়াজ আমদানি করলে ওয়েবসাইটে ওই আমদানিকারকের নামে ১০০০ টন পিয়াজ স্টক দেখা যাবে।তিনি যেসব আড়তদারদের নিকট যে পরিমাণ পিয়াজ বিক্রি করবেন আড়তদারদের নামে ততটুকু পরিমাণ পিয়াজ স্টক দেখা যাবে।আড়তদাররা খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে যার নিকট যতটুকু পিয়াজ বিক্রি করবেন তার ওয়েবসাইটে ততটুকু পরিমাণ পিয়াজ স্টক দেখাবে।এভাবে ১০০০ টন পিয়াজ কারা কারা কিনেছেন তাদের তালিকা তালিকা ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। যার কারণে যে কোন আমদানীকৃত পন্য গুদামজাত করে বাজারে কৃত্তিম সঙ্কট সৃষ্টির কোন সুযোগ থাকবেনা।
(ঘ) আমদানিকারকগণকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আমদানিকৃত পন্য বিক্রি করতে হবে। কেউ নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দরে কোন পন্য বিক্রি করতে চাইলে ওয়েবসাইটে বিক্রির অপশন শো হবেনা।
(ঙ) এ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায়, রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ন্যায্য মূল্যে ক্রয় বিক্রয় এবং সুষম বন্টন নিশ্চিত হবে।সর্বত্র দুর্নীতি ও হয়রানি মুক্ত নাগরিক সেবা নিশ্চিত হবে। দেশের নাগরিকগণ এর সুফল ভোগ করে ক্রমশ: দারিদ্রের কষাঘাত থেকে মুক্তি পাবে। এরি মধ্য দিয়ে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। দেশের নাগরিকদের সুখে-শান্তিতে জীবন যাপনের পথ সুগম হবে।
৫। গৃহহীন নাগরিকদের পুনর্বাসনে গৃহীত পদক্ষেপ:
বিগত সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তরের মাধ্যমে ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদেরকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। সে বরাদ্দ দিয়ে দেশের বিভিন্ন্ এলাকায় ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এসব ঘর নীতিমালা অনুযায়ী বরাদ্দ দেয়া হয়নি| প্রকল্পের সুবিধাভোগী নির্বাচনে, অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃত গৃহহীনদের বাদ দিয়ে ধনীদের নামেও ঘর বরাদ্দ দিয়ে এ প্রকল্পের নীতিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে|
(ক) বাংলাদেশ অনলাইন সার্ভিসের বাস্তবায়ন করা হলে, দেশের প্রস্তাবিত সাত শ্রেণির পরিবারের মধ্য থেকে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারসমূহ ঘর বরাদ্দের আওতার বাইরে থাকবেন। ওয়েবসাইটে তাদের সরকারি ঘর প্রাপ্তির আবেদনের অপশন শো করবেনা। অবশিষ্ট চার শ্রেণির নাগরিকদের মধ্যে দরিদ্র, অতিদরিদ্র, ছিন্নমূল এবং ভাসমান পরিবারসমূহকে বাছাই করে ‘বর্তমানে যাদের ঘর নেই’ তাদের এনআইডি নাম্বার, পরিবার পরিচিতি নাম্বার, মোবাইল নাম্বারসহ তালিকা প্রস্তুত করে পর্যায়ক্রমে তাদেরকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া যাবে। ছিন্নমূল ও ভাসমান পরিবারসমূহের মধ্যে যাদেরকে ইতিমধ্যে আশ্রয়ন প্রকল্পে পুনর্বাসন করা হয়েছে, অবশিষ্ট পরিবারসমূহকে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করা যাবে। যার ফলে দেশে কোন মানুষ গৃহহীন থাকবেনা।
৬। ভ্যাট–ট্যাক্স, আয়কর আদায়ের অন্তরায় ও গৃহীতপদক্ষেপ সমূহ:
সারাদেশের নাগরিক, শিল্প কারখানার মালিক, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, পরিবহন সেক্টর এবং আমদানি-রপ্তানিকারকদের বিশাল একটি অংশ সরকারকে সঠিক নিয়মে ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করেন না। যার কারণে সরকারের কাঙ্খিত আয় বাড়ছেনা। সারাদেশে শত রকমের যানবাহন চলাচল করলেও অনেক যানবাহন ও চালক লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশনের বাইরে থেকে যাচ্ছে। আবার অবৈধ বিবেচনায় অনেক ধরণের যানবাহনকে লাইসেন্স/ রেজিষ্টেশন দেয়া হচ্ছেনা। কিন্তু সেইসব গাড়ি রাস্তার ক্ষতিসাধন করে নিয়মিত চলাচলের মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে। অনেক নাগরিক জমি, প্লট-ফ্ল্যাট, বাড়ি, সোনা-গহনা ও অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করেন না। অনেকে জমি রেজিস্ট্রি করার সময়, ভুয়া টিআইএন সনদ প্রদর্শন করে জমি রেজিষ্ট্রেশন করেন। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে মালামাল আমদানি এবং রপ্তানির ঘটনা ঘটে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হয়।
(ক) এ প্রকল্পের প্রযুক্তির সহায়তায়, দেশের নাগরিক, পেশাজীবী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান, আমদানি-রপ্তানিকারক এবং পরিবহন সেক্টরকে ১০০% ট্যাক্সের আওতায় এনে ভ্যাট, ট্যাক্স এবং আয়কর আদায় নিশ্চিত করতে অনেক গভীর থেকে অনুসন্ধান করে রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। এ প্রকল্পে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বিধায়, কারো পক্ষে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া সম্ভব হবেনা। প্রকল্প বাস্তবায়নের রূপরেখায় ভ্যাট-ট্যাক্স এবং আয়কর আদায়ের কৌশলসহ বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে।
(খ) এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, দেশের ১০০% ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীকে ভ্যাট-ট্যাক্সের আওতায় আনা যাবে। এমনকি ফুটপাতের হকাররাও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ভ্যাট-ট্যাক্সের আওতায় চলে আসবে।
(গ) সরকারি রাস্তায় চলাচলকারী ইঞ্জিনচালিত রিক্সা থেকে শুরু হয়ে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহনের কাজে নিয়োজিত (দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি গাড়িসহ) সব গাড়ি ট্যাক্সের আওতায় আনা যাবে।
(ঘ) দেশের সব জমি, প্লট, ফ্ল্যাট, বাড়ি, আবাসন খাতের সকল ভূ-সম্পত্তি এবং সোনা-গহনাসহ নাগরিকদের যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিবন্ধনের মাধ্যমে ট্যাক্সের আওতায় আনা যাবে।
(ঙ) এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে, আমদানি-রপ্তানি কারকগণ তদের পণ্য আমদানি/রপ্তানির চাহিদা/তালিকা জমা দেবার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ট্যাক্স নির্ধারিত হয়ে তাদের ওয়েবসাইটে ম্যাসেজ যাবে। ভবিষ্যতে কেউ ভ্যাট, ট্যাক্স ও আয়কর ফাঁকি দেবার সুযোগ পাবেন না।
(চ) আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত GST চালু করে অনেক আলোচিত হয়েছে। আমাদেরকে GST করতে হবেনা। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিরবে নিভৃতে আমাদের GST প্রায় বাস্তবায়ন হয়ে যাবে।
৭। সরকারি ক্রয় ও সেবায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে গৃহীতপদক্ষেপ:
সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অতিমাত্রায় ব্যয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে প্রকল্পের ব্যয় বহুগুণ বাড়ানো হচ্ছে। বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ উচ্চ মূল্যে প্রাক্কলন তৈরি করে মালামাল ক্রয় করা হচ্ছে। এতে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হচ্ছে। বিগত সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প, মুগদা জেনারেল হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ক্রয়, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প ও করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয় প্রকল্পের দুর্নীতির বাস্তব চিত্র দেশবাসীর সামনে ফুটে উঠছে। এ ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি, এমএসআর, স্টেশনারি, মনোহারি-মিসেলেনিয়াস খাতের ক্রয় নিয়ে নানাবিধ দুর্নীতির মুখরোচক সংবাদ প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
(ক) এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, রাজধানীতে জাতীয় ক্রয় ভান্ডার প্রতিষ্ঠা করা হবে। সারাদেশের সরকারি সব দপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী এম,এস,আর, যন্ত্রপাতি, মিসেলেনিয়াস, স্টেশনারি, মনোহারি মালামাল পৌঁছে দেয়া যাবে। অদূর ভবিষ্যতে দেশে বালিশ ও পর্দাকান্ডের মত নিন্দনীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তির সুযোগ কেউ পাবেনা। এতে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা সাস্ত্রয় হবে। এসব বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ নেতিবাচক প্রচারণার সুযোগ পাবেনা। এতে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে।
(খ) দেশের সব টেন্ডার, বিজ্ঞপ্তি, কোটেশন বাংলাদেশ অনলাইন সার্ভিসের ওয়েবসাইটে প্রচারিত হয়ে কোটি কোটি মানুষের সামনে দৃশ্যমান হয়ে থাকবে। যার কারণে কেউ ভুয়া বা কাগুজে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের সুযোগ পাবেনা। এতে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দের অপচয় বহুলাংশে রোধ হবে।
(গ) এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, দেশে বিদ্যমান সকল “নাগরিক সেবা” অনলাইনে নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া যাবে। টেলিফোন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট, ভ্যাট-ট্যাক্স, আয়কর, পুলিশ রিপোর্ট, পাসপোর্ট, লাইসেন্স নবায়নসহ সব ধরণের রাষ্ট্রীয় সেবার বিল নাগরিকদের ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেয়া যাবে। নাগরিকগণ ঘরে বসেই সেবা সংস্থার বিল পরিশোধ করতে পারবেন। সেবার জন্য বিভিন্ন অফিসে গিয়ে নাগরিকদেরকে অযথা সময় নষ্ট করতে হবেনা। এরি মধ্য দিয়ে সরকারি বিভিন্ন সেবা খাতের গতানুগতিক দুর্নীতির ধারা ক্রমশ: বিলুপ্ত হতে থাকবে।
৮। ভেজাল পণ্য নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপ:
দেশের একটি অসাধু চক্র যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ধরনের ভেজাল খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। এ ছাড়াও দেশী-বিদেশী বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডিং কোম্পানির কসমেটিকস ও নিত্যব্যবহার্য পণ্য হুবহু নকল করে বাজারজাত করছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এ চক্রটি বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ হুবহু নকল করে বাজারজাত করছে। এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নকল করতেও এ চক্রটি দ্বিধা করছে না। ঢাকার মিটফোর্ড ও এর আশে পাশের এলাকায় ওষুধ জালিয়াত চক্রের আখড়া রয়েছে মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য, নিত্য ব্যবহার্য পণ্য, নকল ওষুধ আটক এবং জালিয়াত চক্রের হোতাদের জেল-জরিমানাসহ কারখানা সিলগালা করে দেয়া হয়। কিছুকাল পরে তারা আবারো সক্রিয় হয়ে ভেজাল ওষুধ, নিত্য ব্যবহার্য পণ্য, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও বিপণন শুরু করে।
(ক) এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন ভেজাল ওষুধ, খাদ্যদ্রব্য এবং নিত্যব্যবহার্য পণ্য বাজারজাত করার কোন সুযোগ থাকবেনা। জালিয়াত চক্র গোপনে ভেজাল পণ্য উৎপাদন করলেও তা বাংলাদেশে বিপণনের কোন সুযোগ পাবেনা। ভেজাল ও নকল পণ্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য, এ প্রকল্পের রূপরেখায় অনেক গভীর থেকে অনুসন্ধান করে নিশ্চিদ্র সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
৯। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ:
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সুবিধার্থে, টেলিটক মোবাইল অপারেটর, জাতীয় সঞ্চয় ব্যাংক, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প এবং দেশের সব ডাকঘর সমূহকে বাংলাদেশ অনলাইন সার্ভিসের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। যার ফলে রাষ্ট্রীয় এসব প্রতিষ্ঠানগুলি অল্প সময়ের মধ্যে ব্যস্ততম ও ব্যবসা সফল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
(ক) এ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায় বাল্যবিবাহ মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে।
১০। শ্রমজীবী ও পেশাজীবীগণের শ্রেণি বিভাজন:
সারাদেশের শ্রমজীবীদের সমন্বিত ডিজিটাল তালিকা না থাকায় ওই শ্রেণির নাগরিকদের বাছাই বা শনাক্ত করা সম্ভব হয়না। যার ফলে একেক জন মানুষ একাধিক পেশাজীবী পরিচয়ে পৃথক পৃথক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে সরকারি সহায়তা হাতিয়ে নিয়ে থাকেন। দেখা গেছে, যিনি জেলে তালিকার সুবিধাভোগী তিনি আবার কৃষক তালিকারও সুবিধাভোগী, তিনি আবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীরও সুবিধাভোগী। তিনি জেলে তালিকা থেকে খাদ্য সহায়তা গ্রহণ করেন, পাশাপাশি কৃষক তালিকায় ভর্তুকির টাকা, সার, বীজ এবং কৃষি কার্ড দিয়ে গুদামে ধান বিক্রি করেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার থেকে চাল সংগ্রহ করেন। এভাবে একই ব্যক্তি কখনো কৃষক, কখনো শ্রমিক, কখনো জেলে, কখনো অতিদরিদ্র, কখনো হতদরিদ্র, কখনো ভাসমান একেক সময় একেক ধরণের পেশাজীবীর পরিচয়ে বার বার সরকারি সহায়তা লুপে নিয়ে থাকেন।
(ক) এ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের সুবিধার্থে, দেশের সব শ্রেণির শ্রমজীবী ও পেশাজীবীদেরকে পৃথক শ্রেণি বিভাজনে নিবন্ধন করা হবে। নিবন্ধিত শ্রমজীবী ও পেশাজীবীদের তালিকা বাংলাদেশ অনলাইন সার্ভিসের ওয়েবসাইট এবং দেশের সকল মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটে থাকবে। এতে দেশের কোন নাগরিক বর্তমানে সরকারি কোন সংস্থায় কি ধরনের সহায়তা ভোগ করছেন তা মুহূর্তের মধ্যে জানা যাবে। ওয়েবসাইটে সরকারি সহায়তা/প্রণোদনার জন্য আবেদনের একটি “ছক” থাকবে। যারা সরকারি যে দপ্তরে নির্দিষ্ট সংখ্যক সুবিধার আওতায় থাকবেন, তাদের জন্য সে ‘ছক’ ওপেন হবেনা। নির্ধারিত সংখ্যক সুবিধার যে কোন একটি থেকে বাদ গেলে তিনি আবারও আবেদনের সুযোগ পাবেন। তথ্য গোপন করে একই ব্যক্তি বার বার সরকারি সহায়তা হাতিয়ে নেবার কোন সুযোগ পাবেন না।
১১। কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ খাতের উদ্যোক্তাদের শ্রেণিবিভাজন:
যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ খাতের উদ্যোক্তাগণ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকের উৎপাদিত ফসল। কিন্তু ত্রাণ বিতরণের জন্য তালিকা তৈরি করা হয় হতদরিদ্রদের। ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয় যাদের কোন ক্ষতি হয়নি, তাদের মাঝে। যুগ যুগ ধরে এই অসম তৎপরতা চলে আসছে। যার কারণে দেশের কৃষি, মৎস্য এবং পশুসম্পদ খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সারাদেশের কৃষিখাতের উদ্যোক্তাদের শ্রেণি বিন্যাস তালিকা থাকলে এ খাতের উদ্যোক্তাগণ এ ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হতেন না।
(ক) এ প্রকল্পের আওতায় দেশের কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ খাত এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের নিবন্ধন করা যাবে। ওয়েবসাইটে এ খাতের উদ্যোক্তাদের শ্রেণি বিভাজন তালিকা থাকবে। অদূর ভবিষ্যতে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হলে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সহজে বাছাই করে প্রণোদনা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। যার ফলে এ খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটবে এবং এ খাতের উদ্যোক্তাগণ জাতীয় অর্থনীতিতে আরও বেশী অবদান রাখতে পারবেন।
১২। পরিবার ও সামাজিক সংগঠন নিবন্ধনে গৃহীতপদক্ষেপ:
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সুবিধার্থে, সারাদেশের পরিবার সমূহকে ‘সাত’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করতে হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে (১৯৭১-২০২৪)ও ভাষা শহীদগণকে ‘পাঁচ’ ক্যাটাগরিতে, এনআইডি নিবন্ধন না হওয়া (জন্মসূত্রে বাংলাদেশী) নাগরিকগণকে দুই ক্যাটাগরিতে, প্রবাসী বাঙ্গালী এবং সব ধর্মের উপাসনালয়, অলাভজনক, সামাজিক, জনহিতকর ও সেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে শ্রেণি বিভাজনে নিবন্ধন করা হবে।
(ক) এ প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত পরিবার, শ্রমজীবী ও পেশাজীবীদের শ্রেণি বিভাজন তালিকা দেশের সকল মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটে থাকবে। এর ফলে সরকার যখন যে শ্রেণির নাগরিক, শ্রমজীবী বা পেশাজীবীকে বাছাই করার প্রয়োজন মনে করবে, তখন সে শ্রেণিকে খুব সহজে বাছাই করতে পারবে।
(খ) এ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায়, সারাদেশের এক পরিবার অন্য পরিবারের সাথে অনলাইনে সংযুক্ত থাকবে বিধায় সারা বাংলাদেশ কার্যত একটি পরিবারে পরিণত হবে।
১৩। রাষ্ট্র বিরোধী অপতৎপরতা রোধে গৃহীত পদক্ষেপ:
রাষ্ট্র পরিচালনা, উন্নয়ন-অগ্রগতিসহ সর্বক্ষেত্রে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও কিছু দুষ্কৃতিকারী সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের সব নাগরিকের ফেসবুক, ইউটিউব, ই-মেইল, জি-মেইলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সকল আইডি/একাউন্ট এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালসমূহ নিবন্ধন করা হবে। যার সুবাদে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা মহল সরকার এবং রাষ্ট্র বিরোধী অপপ্রচার চালানোর সুযোগ পাবেনা।
(ক) এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, সারাদেশের পরিবারসমূহের মধ্যে রাষ্ট্র এবং সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত, অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ওয়েবসাইটে মামলা নাম্বার উল্লেখসহ রেড সিগন্যাল দিয়ে রাখা যাবে। তারা সব সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির মধ্যে থাকবে বিধায় কোন অপরাধের পরিকল্পনা কিংবা অপরাধ সংঘটিত করার সুযোগ পাবেনা।
(খ) এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে, দেশের নাগরিকগণ ঘরে বসেই নিকটস্থ থানায় ডায়েরি, অভিযোগ বা এজাহার দায়ের করার সুযোগ পাবেন। অনলাইনে দায়েরকৃত ডায়েরি, অভিযোগ বা এজাহারের অগ্রগতিও জানতে পারবেন। কোথাও কোন টাকা পয়সা লেনদেন করতে হবেনা। এ ছাড়াও অদূর ভবিষ্যতে কোন বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশী পরিচয়ে পুলিশ রিপোর্ট বা পাসপোর্ট সংগ্রহের সুযোগ পাবেনা।
১৪। বেসরকারি সংস্থা সমূহ (এনজিও) নিয়ন্ত্রণে গৃহীতপদক্ষেপ:
বাংলাদেশে বহুসংখ্যক বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রম দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। এনজিও ব্যুরো, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জয়েন্ট স্টক কোম্পানী থেকে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) লাইসেন্স দেয়া হয়। বাংলাদেশে বেসরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের প্রসারতাই বেশী লক্ষ্যণীয়। বাংলাদেশে কিছু এনজিও অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় কাজ করছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। এদের উপর দেশের মাঠ প্রশাসনের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। দেশের কোন এলাকায় কতটি এনজিও কাজ করছে, তা প্রশাসনের হিসাব রাখার কোন সুযোগ থাকেনা। এনজিওগুলি প্রশাসনকে এড়িয়েই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। ঋণ বিতরণের আগে ঋণ গ্রহীতা থেকে ব্লাঙ্ক চেক ও অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে দেয়। ঋণ খেলাপি হলেই ধরপাকড় এবং চেক ডিজঅনার করে আদালতে মামলা দায়ের করে। যার কারণে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।
(ক) এ প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, Bangladesh Online Service এর Website -এ দেশের সব এনজিও, তাদের সকল শাখা এবং কার্যক্রম নিবন্ধন করা যাবে। কোন্ এনজিও দেশের কোন কোন্ এলাকায় কি ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং দেশের কোন শ্রেণির জনগোষ্ঠীকে কি ধরনের সেবা প্রদান করেছে, তা মুহূর্তের মধ্যে জানা যাবে। দেশের কোন উপজেলায় কতটি এনজিও কাজ করছে, দেশের কোন নাগরিক কোন এনজিও থেকে কত টাকা ঋণ গ্রহণ করেছেন, ঋণের জামানত, সুদের হার, পরিশোধের বিবরণও জানা যাবে। এনজিও সমূহের কার্যক্রমের সাথে লাইসেন্সের শর্তের মিল রয়েছে কিনা, বহির্বিশ্ব থেকে প্রাপ্ত সহায়তা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে কিনা, বিতরণ করা হলে কাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, তাও ওয়েবসাইট ভিজিট করে সহজে জানা যাবে। এতে এনজিওগুলো নিজেদের ইচ্ছামাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করে জনগণকে হয়রানি করতে পারবেনা। তাদেরকে প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে থেকেই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এর মধ্যে দিয়ে বেসরকারি সংস্থা থেকে সরকারের কাঙ্খিত রাজস্ব আদায়ের পথও সুগম হবে।
১৫। ব্যাংকিং খাতের সুরক্ষা : এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে কোন ব্যক্তি/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তথ্য গোপন করে একাধিক ব্যংক থেকে ঋণ নেবার সুযোগ পাবেনা। এ ছাড়া ভুঁয়া দলিল/কাগজপত্র প্রদর্শন করেও কেউ ঋণ নেবার সুযোগ পাবেনা। কারণ দেশের প্রত্যেক নাগরিকদের সহায় সম্বল, স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ থাকবে। উদাহরণ স্বরুপ: কোন ব্যক্তি/ব্যবসায়ী কোন ব্যাংকে গিয়ে ঋণের আবেদন করলে তার কি পরিমাণ সহায় সম্পদ আছে, তিনি কোন ব্যংক থেকে/বেসরকারি সংস্থা থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছেন তা ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। ভুঁয়া কোম্পানী খুলে শত শত কোটি টাকা ঋণ নেবার সুযোগ কেউ পাবেনা।
১৬। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা: এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে দেশের কোন নাগরিক কবে কোন সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিযেছেন এবং কি কি ওষুধ পেয়েছেন, তা ওই নাগরিকের ওয়েবসাইটে দৃশ্যমান হয়ে থাকবে।
১৭। দেশের সরকারি সব প্রকৗশল শাখার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা : এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে দেশের সরকারি সব প্রকৗশল শাখা/ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান যেমন: সড়ক বিভাগ, এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির যে কোন উন্নয়ন কর্মকান্ডের টেন্ডার আহ্বান, দরপত্র বাছাই, কাযাদেশ প্রদান, নির্মাণ কাজের উদ্বোধন, চলমান কাজের নিত্যদিনের আপডেড ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করার বিধান থাকবে। যার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন দুর্নীতির সুযোগ থাকবেনা।
১৮। ভূমি রেজিষ্ট্রেশন ও ভূমি সেবায় দুর্নীতি রোধ: এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে দেশে ভূমি রেজিষ্ট্রেশন ও ভূমি সেবায় কোন ধরনের দুর্নীতির সুযোগ থাকবেনা। সরকারি খাস জমি এবং “ক” তালিকাভুক্ত ভিপি সম্পত্তি অবৈধ দখল কিংবা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বন্দোবস্ত নেবার সুযোগ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।ভূমি জরীপে একজনের জমি অন্যজনের নামে রেকর্ড করে দেবার কোন সুযোগ থাকবেনা।
১৯। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জাতীয় কমিটি, বিভাগীয়, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটির নেতা-কর্মীদের নিবন্ধন করা হবে। যার ফলে একই ব্যক্তিকে একাধিক রাজনৈতিক দল নিজেদের নেতা/কর্মী দাবি করতে পারবেনা। নিকট অতীতে দেখা গেছে, রাজনৈতিক সহিংসতায় কেউ নিহত হলে একাধিক রাজনৈতিক দল মৃত ব্যক্তিকে তাদের নেতা/ কর্মী দাবি করে মিছিল এবং লাশ নিয়ে টানাটানি করে থাকে।
এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক নোংরামি বহুলাংশে অবসান ঘটবে। এর পাশাপাশি জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
২০। বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বে রূপান্তরিত করার স্বপ্নবাস্তবায়নের প্রস্তাবনা:
উল্লেখিত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বে রূপান্তরিত করার উদ্দেশ্যে ‘Bangladesh Online Service’ নামে একটি প্রকল্প গঠনের প্রস্তাবনা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সদয় বিবেচনার জন্য পেশ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমার রূপরেখা অনুযায়ী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।
(ক) ইহা সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবনা, যার কারণে দেশের সব মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং বিভাগের কার্যক্রমের প্রস্তাবনা এখানে তুলে ধরা হয়নি। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাবনায় বাংলাদেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম, ওয়ার্ড, পাড়া/মহল্লা/সমাজ থেকে ব্যক্তি পর্যন্ত সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আকার, পরিধি ও গভীরতা আরও বিশাল আকৃতির হবে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সদয় সম্মতি পাওয়া গেলে, প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, বাংলাদেশ অনলাইন সার্ভিসের Apps তৈরীর কাজ শুরু করা যাবে। Apps & Website তৈরির জন্য রূপরেখা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
(খ) হে আল্লাহ, আমার কাঙ্খিত মহৎ উদ্যোগ ‘Bangladesh Online Service’ এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের শ্রেণিতে রূপান্তর এবং দেশের মানুষকে উন্নত বিশ্বের নাগরিক হিসেবে আপনি কবুল করুন, আমিন।
তারিখ: ২৯.০৯.২০২৪খ্রি.
প্রস্তাবক:
মোঃ কামাল উদ্দিন হাওলাদার
সাবেক সভাপতি
লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব
সম্পাদক ও প্রকাশক : দৈনিক রূপসী লক্ষ্মীপুর
সাবেক সভাপতি, লক্ষ্মীপুর সম্পাদক ও প্রকাশক পরিষদ
হটলাইন : ০১৭৪৮ ৯০৩১৭০
e-mail:lxpnews11@gmail.com