অতিবৃষ্টিজনিত বন্যা প্রতিরোধ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বন্যার দীর্ঘস্থায়িত্ব হ্রাসের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরসহ পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন খালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা সদর পৌরসভাস্থ রহমতখালি খাল, রায়পুর পৌরসভা, রামগঞ্জ পৌরসভা এবং রামগতি পৌরসভাস্থ বিভিন্ন খালসমূহের পানিপ্রবাহের প্রতিবন্ধকতা নিরসনকল্পে এমন পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মাদাম ব্রিজ এলাকায় রহমত খালি খাল পরিষ্কারের মাধ্যমে এ অভিযান উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার।
পৌরসভার ১৩টি স্থানে খালে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া একযোগে রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ পৌরসভাতেও খাল পরিস্কার অভিযান চলছে। এঅভিযান চলবে সন্ধা পর্যন্ত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল হক, সেনাবাহিনীর মেজর জিয়া উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, রায়পুর পৌরসভার প্রশাসক (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক) পদ্মাসন সিংহ, ইউএনও ইমরান খাঁন ও এসিল্যান্ড শাহেদ আরমানসহ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, যতই প্রতিকূলতা থাকুক সবার সমন্বয়ে লক্ষ্মীপুরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারবো। বন্যা পরিস্থিতি, বন্যার দীর্ঘ সূত্রিতা কিংবা জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ হচ্ছে পানির অবাধ প্রবাহ না থাকা। যা এখানে ছিল না। বিভিন্নভাবে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা, মানবসৃষ্ট প্রতিকূলতা। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকেই প্রতিকূলতা সৃষ্টি করেছে। আমরা সব প্রতিকূলতা পরিষ্কার করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আজকে হয়তো একটি জলাশয় পরিষ্কার করছি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে অঙ্গিকার করছি- লক্ষ্মীপুরকে জঞ্জাল মুক্ত করার জন্য যা প্রয়োজন সবাই মিলে একসঙ্গে করবো।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সীমান্তবর্তী জকসিন বাজার ব্রিজ হতে তেরবেকী পর্যন্ত রহমতখালি খালের কচুরিপানাসহ যাবতীয় পানি প্রতিবন্ধকতা নিরসনের লক্ষ্যে ১৫০ জন শ্রমিক দ্বারা রহমতখালি খালের প্রবাহকে সম্পূর্ণ রূপে বাধামুক্ত করা হবে।
একই উদ্যেগে রায়পুর পৌরসভার ডাকাতিয়া নদী পরিষ্কার করা হবে। এ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের রায়পুর মহিলা কলেজের সামনে থেকে ৫০০ মিটার পর্যন্ত নদীর কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কারসহ ২ নং ওয়ার্ডের পোস্ট অফিস ব্রিজ থেকে গাজীনগর ব্রিজ পর্যন্ত ১.৫ কি মি পর্যন্ত নদীর কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়।
এছাড়া রামগঞ্জ পৌরসভার বীরেন্দ্র খাল যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার, এর প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি অংশ পরিষ্কার করা হবে। এতে বর্তমানে পানি চলাচলে ১৮-২০ টি প্রতিবন্ধকতা আছে। এসব পয়েন্টে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এবং রামগতি পৌরসভার সমবায় খাল পরিষ্কার করা হয়।