দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াট থাকলেও চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কম। তবে গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েছে। লক্ষ্মীপুরে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন উঠেছে, বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও হঠাৎ করে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার কারণ কী?
জানা গেছে, প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে সামিটের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল বন্ধের কারণে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় প্রতিদিন গড়ে ১২০০ মেগাওয়াটের মতো কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। অন্যদিকে বকেয়ার কারণে ভারতের আদানি গ্রুপ প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়েছে। এর সঙ্গে কারিগরি কারণে বড়পুকুরিয়া কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং মাতারবাড়ী ও এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কমে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েছে কয়েক দিন ধরে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে দিনে গড়ে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের মতো।