লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ছাত্রসমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ছাত্র সমন্বয়কদের উদ্যোগে জেলা শহরে স্থাপিত অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় সমন্বয়করা লক্ষ্মীপুরের বন্যাকে মানবসৃষ্ট আখ্যায়িত করে বলেন, গত এক মাসেও জেলার চার উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে এখনও পানি সরেনি। এ পর্যন্ত যৌথবাহিনীর সহায়তায় ১৮টি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২৭৩টি বাঁধ চিহ্নিত করা হয়েছে যা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় অপসারণ করা হবে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জানান। এতে করে লক্ষ্মীপুরের ভুলুয়া, ডাকাতিয়া নদী, ওয়াপদা ও রহমতখালী খালের পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ ফিরে আসবে। এতে নিরসন হবে স্থায়ী জলাবদ্ধতার।
মতবিনিময় সভায় জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে ৪ জনসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জেলার ১৬ জন শহীদ ও কমপক্ষে ১৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান সমন্বয়করা। আহতদের সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজন হলে গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে বলেও জানান সমন্বয়করা।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সমন্বয় মাফরাজ হোসেন, এনামুল হক, সরোয়ার হোসেন, সাহেদুর রহমান রাফি, আরমান হোসেন, বায়েজিদ সহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে দূর্গা পূজা উদযাপন করতে পারে সে বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে। কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে দায়িত্ব পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজ।
সমন্বয়ক মাফরাজ হোসেনকে প্রধান করে ইতোমধ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন নামে একটি কমিশন গঠন করার কথা উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমন্বয়করা সাংবাদিকদের জানান, প্রশাসনিক কার্যক্রম কিছুটা স্থবির থাকায় মানুষের বিভিন্ন অভিযোগের তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সে সব সমস্যা সমাধানের কাজ করছে কমিশন। শুধু তাই নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত-আহতদের সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাইয়েরও কাজ করছে বলেও জানান সমন্বয়করা। মতবিনিময় সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।