ঢাকাThursday , 19 September 2024

লক্ষ্মীপুরে অস্তিত্ব সংকটে ঐতিহ্যবাহী রহমতখালী খাল

Link Copied!

দখল-দূষণের কবলে পড়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা দিয়ে প্রবাহিত ঐতিহ্যবাহী রহমতখালী খাল।পানি নিষ্কাশনও হচ্ছে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত। স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে নিয়েছে খালটির দুপাশ। আর পৌর বাজার এলাকাসহ জেলা শহরের বিভিন্ন ডাস্টবিনে ময়লা-আবর্জনা ও পলিথিন ফেলায় তা এসে পড়ছে রহমতখালী খালটিতে। খালের অধিকাংশই দখল আর দূষণের কবলে, কিছু অংশে পলি জমে ঢাকা পড়েছে খালটি। এতে বন্ধ হয়ে পড়েছে খালের স্বাভাবিক পানির প্রবাহ, ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রহমতখালী খালের পানি। ফলে নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য, বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা বলছেন, খালটি জেলা প্রশাসকের আওতায়। আর জেলা প্রশাসন বলছে, শিগগিরিই দখলদারদের তালিকা করে চালানো হবে উচ্ছেদ অভিযান।

লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রহমতখালী খালটির দৈর্ঘ্য ৪০ কিলোমিটার। এর মধ্যে সদর উপজেলার অংশে পড়েছে ১৮

কিলোমিটার। অবৈধ দখল ও দূষণের কবলে পড়ে পৌর শহর অংশে খালটির দৈর্ঘ্য এখন দাঁড়িয়েছে আট থেকে ১০ মিটারে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ, মান্দারি, জকসিন ও পৌর শহরের বাজার এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে রহমতখালী খাল। একসময় এই রহমতখালী খাল ছিল খরস্রোতা। এ খাল দিয়ে ভোলা-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লক্ষ্মীপুরে পণ্যসামগ্রী নিয়ে বড় বড় নৌকায় আসা যাওয়া করতেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু দখল ও দূষণের কবলে পড়ে খালটি এখন প্রায় মৃত। জেলা শহর ও জেলার বিভিন্ন বাজারগুলোর বর্জ্য অপিরকল্পিতভাবে ফেলা হচ্ছে ড্রেনে। সেখান থেকে বর্জ্যগুলো সরাসরি এসে পড়ছে রহমত খালটিতে। খালটি দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে এ যাবৎ নেয়া হয়নি দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় খালের দূষণ দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে।

লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাসিন্দা রহিমা বেগম জানান, একসময় এই খালের পানি ব্যবহার করতেন। অবসর সময়ে খাল পাড়ে বসে

দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছও শিকার করতেন। এখন পাড় হয়েছে দখল, পানি হয়েছে দূষণ। স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, দখল ও দূষণের কবলে

পড়ে এ খালের পানি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। খাল দূষণের কথা স্বীকার করেন লক্ষ্মীপুর সংশ্লিষ্টরা। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তারা বলেন, খালপাড়ের বাসিন্দাদের অসচেতনতা দখলদারিত্বে খাল দূষণ হচ্ছে।যদিও খালদলকারীরা প্রভাবশালী, তবুও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিলেই খালটি অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানালেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদার ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। রহমতখালী খালটি বাঁচাতে দখলদারদের তালিকা করে শিগগিরিই চালানো হবে উচ্ছেদ অভিযান।

এক সময়ের খরস্রোতা এই রহমতখালী খালটি অবৈধ দখল ও দূষণমুক্ত করা গেলে ঐতিহ্য ফিরে পেত খালটি, এমনটাই মনে করছে সচেতন মহল।

শীর্ষ সংবাদ ডেস্কঃ

শীর্ষ সংবাদ ডেস্কঃ

প্রতিবেদক

ঢাকা

সর্বমোট নিউজ: 648

Share this...

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
  • আমাদেরকে ফলো করুন…