বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশে উত্তাল হয়ে পড়লেও ক্ষমতা ধরে রাখার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে চাপ দিচ্ছিলেন আন্দোলন থামাতে। পরে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হলে বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি করে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে হয়েছে তাকে। যার ফলে বাড়তি জামাকাপড় নেওয়ার সুযোগটুকু পাননি তিনি। সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে জানাচ্ছে এমন খবর।
বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন হাসিনা। ভারতীয় গণমাধ্যমটি বলছে, গত ৫ আগস্ট শেষ মুহূর্তে দেশ ছাড়ার জন্য ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। আর এই সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করা ও ভারতের প্রবেশের জন্য অনুমতি চাইতে হয়েছে তাকে। যে জন্য শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে বাড়তি জামাকাপড়সহ নিত্য ব্যবহারের জিনিসপত্র পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেননি তিনি ও তার বাকি সঙ্গীরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা ও তার সঙ্গীদের বহনকারী সামরিক পরিবহন উড়োজাহাজটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। তখন সবাই ছিলেন পুরোপুরি দুর্দশাগ্রস্ত। বর্তমানে তারা বিমানঘাঁটির কাছের একটি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন।
আর সেখানটায় নিয়োজিত প্রটোকল কর্মকর্তারা হাসিনা ও তার সঙ্গীদের কাপড়চোপড়সহ নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র কিনতে সহায়তা করেছেন। সেই সঙ্গে ঘটনার আকস্মিক ধাক্কা ও চাপ থেকে বের হতে শেখ হাসিনাকে সাহায্য করছেন ভারতের সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা ও প্রটোকল কর্মকর্তারা।