পাকিস্তানের মাটিতে হতে যাওয়া দুটি টেস্ট ম্যাচ সামনে রেখে আগামী ১৭ আগস্ট দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই সফরের আগে দেশের মাটিতে পা রেখে দলের সঙ্গী হওয়ার কথা ছিল তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। তবে এখন সেটি না হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি। এমনকি তাকে দলে রাখা হবে কিনা সেটি নিয়েও তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
আর এমন শঙ্কার কারণ সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয় ও সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাকিবের নীরব ভূমিকা। আওয়ামী লীগের হয়ে মাগুরা-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়া সাকিব সদ্যই তার পদ হারিয়েছেন সংসদ বাতিল হওয়ায়। তাছাড়া শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর মাগুরায় তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আন্দোলনকারী ছাত্রজনতার মধ্যে সাকিবকে নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
সাকিবের প্রতি এই ক্ষোভের কারণ রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন দিতে না পারা। এছাড়াও ছাত্র আন্দোলনে যখন উত্তাল সারা দেশ তখন, যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এবং সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেওয়া। এছাড়াও কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে এক ভক্ত তাকে আন্দোলনে সমর্থন না দেওয়ায় বিবেককে জাগ্রত করতে বলায় ওই ভক্তকে হেনস্তা করেছেন সাকিব। পাল্টা প্রশ্ন করে জিজ্ঞাস করেছেন দেশের জন্য কি করেছেন তিনি। এসব নিয়ে সাকিবের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ ক্রিকেট প্রেমীদের।
সেই ক্ষোভ উপেক্ষা করে সাকিব দেশে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। তবে বিসিবির দেওয়া এনওসি অনুযায়ী আগামী ১২ই আগস্ট তার এনওসির মেয়াদ শেষ হবে। এরপর তার দেশে ফেরার কথা ছিল আগামী ১৩ই আগস্ট। এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলায় সাকিব আধও দেশে ফিরবেন কিনা সেটি নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
তবে সাকিব দলে জায়গা পাবেন কিনা সেটি নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। যা নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের সহকারি ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘একটা প্রশ্ন হচ্ছে সাকিব আল হাসান অ্যাভেলেবল আছেন কি না আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে উনি সিলেক্টেড হচ্ছেন কি না। আমার মনে হয় সামগ্রিক পার্থক্যটা আমরা সবাই বুঝি। ওটার ওপর ডিপেন্ড করে আমরা আমাদের এক্টিভিটিস আছে সেভাবে পরিচালনা করব।’
অর্থাৎ কোনো কারণে সাকিব দল থেকে বাদ পড়লে তার দেশে ফেরার আপাতত সম্ভাবনা নেই। আর তাকে যদি দলে রাখাও হয় সেক্ষেত্রে তিনি দেশে না ফিরে সরাসরি পাকিস্তানে যাবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় যেখানে দেশ ছাড়তে ব্যস্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি বিদরা সেখানে দেশে ফিরে নিশ্চিতভাবেই কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাইবেন না তিনি।