প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গণভবনে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীসহ হাজার হাজার সাধারণ জনগণ। গণভবনে ঢুকে যে যার যার মতো করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যবহৃত সকল সম্পদ নিজের মতো করে নিয়ে যান জনগণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শখের বসেই তার বাসভবনে হাঁস-মুরগি-কবুতর মাছসহ বিভিন্ন পশুপাখি লালন পালন করতেন।
এরপর আন্দোলনকারীসহ সাধারণ জনগণ ঢুকে পড়েন সংসদ ভবনেও।
সোমবার বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারা হেলিকপ্টারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সেই সুযোগ পাননি।
এর আগে বেলা ২টার দিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সেনাসদর দপ্তরে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বৈঠক করছেন বলে জানা যায়।
জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সেনাপ্রধানের বৈঠকে ডাক পেয়েছেন।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ডাক পেয়েছেন বলে জানা গেছে।