লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সড়কে যাতায়াত করতে গিয়ে রোদ ঝড় বৃষ্টিতে সাধারণ যাত্রীরা যেন ভোগান্তিতে না পড়ে সেই দিক বিবেচনা করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বিভিন্ন বাসস্টপে সাধারণ যাত্রীদের জন্য সড়কের পাশে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেছেন। যানবাহনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীরা এসব ছাউনিতে বসে বিশ্রাম নেন।
সাধারণ যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য তৈরি করা যাত্রী ছাউনিগুলোর বেশিরভাগই এক শ্রেণির স্থানীয় লোকজন তাদের ব্যবসা সাজিয়ে দখল করে রাখার অভিযোগ ওঠে।
রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর-ভোলা আঞ্চলিক মহা সড়কের বাসাবাড়ী বাজারে, রাখালিয়া সিএনজি স্টেশান ও পাটোয়ারী রাস্তার মাথায় ৩টি যাত্রী ছাউনি রয়েছে এবং রায়পুর শহরের বাসটার্মিনাল রয়েছে দুটি যাত্রী ছাউনি।
রায়পুর সোনাপুর ইউনিয়নের এসব যাত্রী ছাউনিগুলো অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সেগুলো দখল করে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগপাওয়া যায়।
অভিযোগের সত্যতা জানতে সরেজমিনে শনিবার (৬জুলাই) দুপুরে সোনাপুর ইউপির বাসাবাড়ী বাজার, পাটোয়ারী রাস্তার মাথায় ও রাখালিয়া বাজার সিএনজি স্টেশান গিয়ে দেখা যায়, পৃথক ৩টি জেলা পরিষদের নির্মাণ করা যাত্রী ছাউনি দখল করে ফল ও চায়ের দোকান তাদের ব্যবসা সাজিয়ে বসেছে। ফলে ছাউনির ভেতর ও বাইরে যাত্রীরা বসার ও দাঁড়ানোর পরিবেশ নেই। এইসব ছাউনিগুলোর চারপাশে খোলা অবস্থায় রয়েছে।
পৃথক ওই তিনটি দোকান প্রতি বছর ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে আজীবন চুক্তিতে জেলা পরিষদ থেকে পাটোয়ারী রাস্তার মাথায় মৃত নবী মেম্বার, রাখালিয়া সিএনজি স্টেশানে সেলিম ও বাসাবাড়ী বাজারে শিপনের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জেলা পরিষদের সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান) মামুন বিন জাকারিয়া। জরাজীর্ণ ছাউনিগুলো সংস্কার করে পরিষদের উন্নয়নের জন্য নিয়মনীতি অনুসরণ করে দোকান তিনটি ভাড়া দেন বলে জানান।
বাসাবাড়ী বাজারে ফল দোকানী হারুনুর রশীদ ও পান দোকানী সবুজ আনুমানিক ৭-৮ মাস আগে ভাড়া নেন। কিন্তু তারা দোকানের সামনের অংশ যাত্রী ছাউনি পুরোপুরি দখল করে ফল ও পান ব্যবসা করছেন এবং দোকান গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছেন।
সোহেল ও মাহবুব নামের দুই যাত্রী বলেন, রাখালিয়া ও বাসাবাড়ীর বাজারের যাত্রী ছাউনি সঠিক জায়গায় করা হয়নি। একই সড়কে পাটোয়ারী রাস্তার মাথায় যাত্রী ছাউনির সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্টান্ড করা হয়। এবং রাখালিয়ারটি গ্রীল ওয়া্রকসপে আলমারি থাকায় মালামাল রাখার কারণে যাত্রী বসার মতো কোনো পরিবেশ নেই বলে সোহেলসহ স্থানীয় কয়েকজনের অভিযোগ।
এ ছাড়াও রায়পুর শহরের বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনির ছাউনির সামনে দুটি চায়ের দোকান রয়েছে। অন্যদিকে পৌরসভা থেকে সংস্কারের কাজ চলমান। ফলে যাত্রীদের বসার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান) মামুন বিন জাকারিয়া বলেন, রাখালিয়া সিএনজি স্টেশানে যাত্রী ছাউনি ১২ বছর আগে নির্মাণ করা হয়। ছাউনিটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেখানে আগে চা স্টল ছিল।।পাটোয়ারী রাস্তার মাথায় যাত্রী ছাউনির এক পাশে কনফেকশনারী দোকান রয়েছে। ওই দোকানগুলো মূলত ভাড়া দেওয়া হয়েছে মৃত নুরনবী মেম্বারের কাছে। তার চালায়। এ বিষয়ে তিনি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলবেন তারা যেন দোকানের ভেতরে তাদের ব্যবসা সীমাবদ্ধ রাখেন।