রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার নাম মনসুর আলম ওরফে কাজী মনসুর।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত মতান্তরে শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে তিনটার দিকে চকবাজার থানার বেড়িবাঁধ চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম ও চকবাজার থানার একটি টিমের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে কাজী মনসুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও একটি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন— প্রকাশ্যে ৪৩ সিল মারা আজাদ আবারও নৌকার নির্বাচনি প্রচারনায়
মনসুর আলমের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগন ভুঁইয়ায়। স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে দাখিল পাস করে আলিম পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয় ২০০০ সালে। পরে ঢাকার ফকিরাপুলের একটি ট্রাভেলিং এজেন্সিতে ক্লার্কের কাজ শুর করেন। ২০০০ সাল থেকে রফিকুল ইসলাম মজনুর সাথে নিয়মিত সাক্ষাৎ করতো বিএনপির পল্টন অফিসে। সম্পৃক্ত হয় বিএনপির মিছিল মিটিং ও আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে। ২০২১ সালের মার্চ-এপ্রিলে যুবদল দক্ষিণের যে আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ছিল গোলাম মাওলা শাহীন এবং সদস্য সচিব ছিল খন্দকার এনামুল হক সে কমিটিতে মনসুর আলম অন্যতম সদস্য ছিল। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের পর থেকে চলমান হরতাল, অবরোধে যখন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের অনেকেই গা ঢাকা দিয়ে পলাতক হয় তখন মনসুর আলমকে অতীত অভিজ্ঞতা এবং দলীয় আনুগত্যের কারনে যুগ্ম আহ্বায়ক মহানগর দক্ষিণের লালবাগ, চকবাজার এবং বংশাল এলাকার যাবতীয় ধ্বংসাত্মক কাজের সমন্বয়ক নির্বাচিত করা হয়। সে থেকে এই তিন থানা এলাকায় ওয়ার্ড ও থানার যুবদলকে সংঘটিত করা, তাদের কার্যকলাপ মনিটরিং করা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণের ছবি/ভিডিও উপরে প্রেরণ করা, উপর থেকে প্রাপ্ত টাকা অন্যদের মধ্যে বিলি বণ্টনের কাজটা মনসুর আলম করে আসছে।
পুলিশ আরও জানায়, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদলের নেতাকর্মীরা একত্রে বসে মিটিং বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তারা ইন্ডিভিজুয়ালি এবং গ্রুপভিত্তিক হোয়াটসঅ্যাপ কনফারেন্সিং করে থাকে। ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফার যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন বাবলু, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরীসহ দক্ষিণ যুবদলের ৮টি টিমের টিম লিডাররা ভার্চুয়াল কনফারেন্স করে। ভার্চুয়াল কনফারেন্সে খন্দকার এনাম বিশদ পরিকল্পনা বর্ণনার জন্য সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নকে ফ্লোর দিলে রবিউল ইসলাম নয়ন ২টি মূল বিষয় বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়।