লক্ষ্মীপুরের সদরের বশিকপুর গ্রামে স্ত্রী-সন্তানদের আটকে রেখে ঘরে আগুন দিয়েছে কামাল হোসেন (৪২) নামে এক অটোরিকশা চালক। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে তার দুই সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে (৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কামালকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বশিকপুর গ্রামের পুরান চতইল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলো- কামাল হোসেনের মেয়ে আয়েশা আক্তার (৭) ও ছেলে আবদুর রহমান (৪)।
আরও পড়ুন— গাইবান্ধায় কিশোরী দলের প্রচারণা কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠান
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জসিম উদ্দিন ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহফুজ আলম ও অটোরিকশা চালক মানিক হোসেন বলেন, কামাল মাদকসহ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। মাদক সেবন নিয়ে স্ত্রী সুমাইয়ার সঙ্গে প্রায়ই তার ঝগড়া হতো। ঘটনার সময় তার স্ত্রী-সন্তানদের ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নেভায়। এর আগেই কামালের মেয়ে আয়েশা আগুনে পুড়ে মারা যায়। দগ্ধ হয় তার স্ত্রী সুমাইয়া ও ছেলে আব্দুর রহমান।
আরও পড়ুন— জাতীয় সংসদ নির্বাচনঃ গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি হলেন যারা
বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কামাল ঘরে স্ত্রী-সন্তানকে আটকে রেখে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে তার স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে আগুনে দগ্ধ হয়। এরমধ্যে তার মেয়েটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। দগ্ধ অবস্থায় স্ত্রী ও ছেলেটিকে প্রথমে সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলেটিও বিকালে মারা গেছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, কামালের দেওয়া আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই সন্তান মারা গেছে। তার স্ত্রী দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় কামাল আটক রয়েছে। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে তিনি আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।