দখলদার ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধ শুরুর ৪৮ দিন পর শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে গাজায় চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে গেছে দু’পক্ষই। এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় শরণার্থী শিবির থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করছেন অবরুদ্ধ গাজার হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ। তবে, একেবারেই নিষেধ করে দিয়েছে দখলদার সন্ত্রাসী ইসরায়েল। তবে, ইসরায়েল গাজা উপত্যকার উত্তর দিকে ফিরতে একেবারেই নিষেধ করায় দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে থাকা মানুষগুলো হতাশ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, কয়েকদিন আগেই উত্তর গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইসরায়েল। এতে ভিটেমাটি ছেড়ে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তরিত হয় প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। যুদ্ধবিরতি হওয়ার কারণে নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে চাইছেন ওই বাসিন্দারা। তবে বাড়িতে ফিরতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন— বিরতির আগে ইসরায়েলি হামলায় হামাসের নৌ কমান্ডার নিহত
ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর ও দক্ষিণ গাজার মধ্যে একটা সামরিক সীমা টেনে রেখেছে। সেটা পেরিয়ে কাউকে যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না। শুক্রবার যুদ্ধবিরতি চলাকালে কয়েকজন ফিলিস্তিনি জোর করে উত্তর গাজায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী গুলি করে তাদের হত্যা করে। এ সময় অন্তত ১১ জন আহত হন।
আল–জাজিরার প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেন, গাজাবাসীর মধ্য হতাশা ভর করেছে। সেই সঙ্গে তারা ক্ষোভে ফুঁসছে। তাদের মনে প্রশ্ন, নিরাপদে বাড়ি ফেরার সুযোগ দেওয়ার শর্তটি কেন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্ত করা হয়নি? এ জন্য তারা হতাশ।
আরও পড়ুন— বিএনপির এখনো নির্বাচনে আসার সুযোগ আছেঃ কাদের
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, যুদ্ধবিরতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে হামাস বেসামরিক লোকদের গাজার উত্তর অংশে ফিরে যেতে উৎসাহিত করতে পারে বা চাপ দিতে পারে। কিন্তু সে সুযোগ দেওয়া হবে না।
দখলদার ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যক এক্স-এ একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘উপত্যকার দক্ষিণ থেকে উত্তরে জনসংখ্যার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। কেবল উত্তর থেকে দক্ষিণে যাওয়া যাবে। গাজা উপত্যকার উত্তরের এলাকাটি একটি যুদ্ধ অঞ্চল এবং সেখানে থাকা নিষিদ্ধ। যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি।’