লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর দুই পাড়ে সুইস গেইটের পাশে জায়গা ও যাত্রী ছাউনি দখল করে স্থানীয় দুই প্রভাবশালীর সাথে ইট-বালুর ব্যবসা করছেন পাউবোর এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি। বাতাসে উড়ছে ধুলাবালি। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েশ জেলে পরিবারে ও নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিদের।
স্থানীয় জেলে পরিবার ও পথচারীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী সালাউদ্দিন ও সোবহান মাঝি মেঘনা নদীর পশ্চিম পাশে ডান দিকের সরকারি জায়গা ও যাত্রী ছাউনি দখল করে ইট, বালু রাখায় সারা দিনই উড়ছে ধুলাবালি। তা বাতাসে উড়ে আশপাশের জামে মসজিদ ও জেলেদের বাসাবাড়িতে ঢুকছে।
এলাকাটি উপজেলার উত্তর চরবংশী ও দক্ষিন চরবংশী ইউপির হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির পাশে মেঘনা নদীর সুইস গেইট এলাকা।
আরও পড়ুন— আ.লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে যেসব দল
চরবংশী ইউপি সদস্য দিদার মোল্লা বলেন, সালাহ উদ্দিন ও সোবহান মাঝি সুইস গেইটের পশ্চিম পাশের (পাউবো’র) যাত্রী ছাউনি। তার পাশে একটি জামে মসজিদ ও কয়েশ জেলে পরিবারের চলাচলের রাস্তা। কি কারনে বা কাদের নির্দেশে যাত্রী ছাউনি দখল করে এসব মালামাল ভেতরে রাখছে তা আমার জানা নাই। তবে এগুলো সরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তা করা না হলে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় আ’লীগ নেতা পরিচয়দানকারি স্থানীয় প্রভাবশালী সালাহ উদ্দিন ও সোবহান মাঝি ডাকাতিয়া ও মেঘনা নদীর হাজিমারা সুইস গেইটের পশ্চিম পাশ ইট ও বালু খোলা জায়গায় এবং যাত্রী ছাউনির ভিতরে স্তুপ করে মালামাল রেখেছে। এ ছাড়া সুইস গেইট ঘেষে দক্ষিণ-পূর্ব পাশে রেখেছে পাউবোর অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি মুজাম্মেল মাষ্টার। সেখান থেকে ইট ও বালু রায়পুরের মোল্লারহাট, খাসেরহাট, হায়দরগন্জ বাজারে, বরিশালের মেহেদীঞ্জে, চাঁদপুরের চরভৈরবি ও হাইমচরের বিভিন্নস্থানে বিক্রি করা হয়। আর এতে করে বাতাসে বেশি ছড়িয়ে মসজিদ ও জেলেদের বসতঘরে ঢুকছে।
আরও পড়ুন— বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বের তারিখ নির্ধারণ
এ বিষয়ে পাউবোর কর্মচারি মুজাম্মেল মাষ্টার বলেন, আমি রায়পুরের হাজিমারা এলাকায়ই ৩৫ বছর চাকুরি করে অবসর নেই। উর্দ্ধতন স্যারদের বলে আবারও চাকুরি নিয়েছি। অবসর সময়ে ইট বালুর ব্যাবসা করছি। তবে মানুষের ক্ষতি হোক, এটা চাইনা। ইট-বালু ব্যাবসায়ী সালাহ উদ্দীন ও সোবহান মাঝি স্বীকার করে বলেন, সহসাই ওখান থেকে (নদীর পাড়ে সুইসগইটের পাশ) চলে যাব। তবে দখলে থাকা যাত্রীছাউনি খুলে দিবো বলে তিন দিনেও তা বন্ধ রেখে ইট বালু ব্যাবসা করছে।
এলাকার বাসিন্দা রুবেল ও হাসানুর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নদীর পাড়ে সুইসগেইট ঘেষে জায়গা ও যাত্রী ছাউনি দখল করে এ এলাকায় ইট-বালুর ব্যবসা চলছে। মসজিদ ও জেলেদের বসতঘর ও দোকানের সামনে বালু রাখায় সারা দিনই ধুলাবালি ওড়ে। জানালা খুলেই ঘরের ভেতরে চলে আসে। মসজিদে নামাজ আদায় করা যায়না।বাসিন্দাদের ভোগান্তিপোহাতে হয়।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ- সহকারি প্রকৌশলী শাকিল মাহমুদ মোবাইল ফোনে বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যাবস্থা নিচ্ছি।