সংবিধান অনুযায়ী জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সরকার। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে জানিয়েছেন, বিরোধী দল বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও বেআইনি’।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর)-এর চতুর্থ পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নেন আইনমন্ত্রী। পরে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনায় অংশ নেওয়া ১১১ দেশের মধ্যে ৯০ ভাগ প্রশংসা করেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন— গাবতলি-গুলিস্তান-মতিঝিলে বাসে আগুন
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে পর্যালোচনায় বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। আইনমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার পরেও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার পদক্ষেপগুলো জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে তুলে ধরা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, বৈঠকে কয়েকটি দেশ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চায় বারবার বলছিল। নির্বাচন বিষয়ে বাংলাদেশের সাংবিধানিক অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। একই সময় বেগম জিয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয়। পরে কারও পক্ষ থেকে কোনো প্রশ্ন আসেনি।
আরও পড়ুন— এক ট্রাক পলিথিন জব্দ সহ গাড়ি চালককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
বাংলাদেশের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা ছাড়াও তারা প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনে হামলা চালায় এবং পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
আইনমন্ত্রী দাবি করেন, নির্বিচারে কোনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেশের আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সময় মন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একা মিয়ানমারের চাপিয়ে দেওয়া সংকট সমাধান করতে পারবে না।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ের বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমানসহ অন্যরা।