ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে না যাওয়ায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আবদুল করিম (২২) নামের এক যুবককে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে একই এলাকার মোঃ মানিক নামে এক বিএনপির প্রভাবশালী কর্মী।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় করিমকে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সন্ধায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে (১০ নভেম্বর) উপজেলার চরআবাবিল ইউপির ঝাউডুগি গ্রামের মতিন মেম্বারের গোজা নামক স্থানে। আহত দিনমজুর আবদুল করিম ঝাউডুগি গ্রামের মেস্তরি বাড়ীর হারুন মেস্তরির ছেলে।।
আরও পড়ুন—
করিমের মা কহিনুর বেগম ও দাদা সাহাবুদ্দিন জানান, আবদুল করিম গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে না যাওয়া ক্ষুদ্ব হন স্থানীয় বিএনপির কর্মী ও সুপারি ব্যাবসায়ী মোঃ মানিক। এতে কথা না শুনায় অপমান বোধ করেন মানিক। তাই প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার সকালে চায়ের দোকানে নাস্তা করে বাড়ী ফেরার পথে করিমকে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম কর হত্যার চেষ্টা চালায়।
এসময় করিম চিৎকার দিলে তার নানী মেহেরেন্নেছা এগিয়ে আসলে হামলাকারী মানিক পালিয়ে যায়। পরে আহত করিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। এঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকেও জানানো হয়েছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ মেহের জানান, আবদুল করিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। করিমের মাথা, কান, পিঠে ও বুকে মারাত্নক জখম হয়। মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় পরিবার উন্নত চিকিৎসায় করিমকে এম্বুল্যান্সে ঢাকায় নিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন—
অভিযুক্ত বিএনপির কর্মী মানিক পলাতক থাকায় তার বড় ভাই ইমাম হোসেন বলেন, আবদুল করিমদের বসত ঘরের পাশে মানিক সুপারি বাগান বর্গা নিয়েছিলো। করিম পুর্বে দুইবার ওই বাগানে সুপারি চুরি করে। এইবারও হয়তো সুপারি চুরি করেছিলো। সেই সন্দেহে তাকে মারধর করে। তবে মানিক খুব অন্যায় কাজ করেছে। আমরা তাকে শাসন করেছি।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার জানান, ঘটনাটি তিনি জানেন না। হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত যুবকের পরিবার অভিযোগ দিলে হামলাকারীকে আটক করা হবে।