লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ চন্ডিপুর মনসা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে শ্রেণী কক্ষে ছাত্রীদের সাথে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে বুধবার(৩১ আগস্ট) বিকেলে দশম শ্রেণীর ৬জন ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ দেয় ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস সোমবার(২৯ আগস্ট) দশম শ্রেণীর ৬ জন ছাত্রীকে পড়া না পারার জন্য দাঁড় করিয়ে গাল,নাক ও হাত ধরে টিপে দেয় এবং বিয়ে দিলে বাচ্ছা জন্ম দিতেতো পারবে,সেটা কিভাবে পারবে এ জাতীয় অশ্লীল কথা বলেন। পরে ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদেরকে জানালে তাদের পরামর্শে অভিযোগ করে।
অভিযোগকারী ছাত্রীরা বলেন, এ শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে শ্রেণী কক্ষে বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের মুখের নেকাব খুলে গাল, নাক, হাত ধরে নরম শক্ত নির্নয় করাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত দিয়ে আসছেন। মুখেও বিভিন্ন অশ্লীল কথাও বলে থাকেন। অনেকদিন সহ্য করার পর একজন পিত্য সমতুল্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা এ শিক্ষকের বিচার দাবী
করছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস জানান, আমি ছাত্রীদেরকে লেখা পড়ার জন্য বেত্রাঘাত করি। এতে
তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে। এ ছাড়াও এ ঘটনায় একটি মহলের ষড়যন্ত্র আছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশীদ জানান, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের বিষয় আমি জানতে পেরে তৎক্ষনাৎ প্রধান শিক্ষকে অবহিত করি। প্রধান শিক্ষক ছুটিতে আছে। কিন্তু ছাত্রীদেরকে ইভটিজিং করার বিষয়টি জানিনা।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন, এ ব্যাপারে ছাত্রীরা অথবা অভিভাবক কেউ কমিটির লোকজনকে জানায়নি। শুনেছি তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেছে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মীরা জানান, ছাত্রীরা সরাসরি এসে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে দোষী সাব্যস্থ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।