লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে (২৮) গণধর্ষণের অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় ওই গ্রাম বাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুখ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হল, রায়পুর চরআবাবিল ইউনিয়নের গাইয়ারচর গ্রামের অজিউল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৪৫) ও হাজি সৈয়দ আলী মিজির ছেলে শহীদ উল্লাহ (৫৫)। রুবেল ও জাহাঙ্গির হোসেন পলাতক রয়েছে।।
আরও পড়ুন— কাল সারাদেশে শান্তি সমাবেশ আওয়ামী লীগের
মামলার এজাহার হতে জানাযায়, দক্ষিণ গাইয়ারচর গ্রামের হজু মোল্লাগো স্টেশান এলাকার মোহাম্মদ আমিন গংদের সাথে ক্ষতিগ্রস্থ্য গৃহবধুর পরিবারের গত দুই বছর ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। আর গরিব ও অন্ধ বাবার পক্ষে সচেতন মেয়েটি মামলা পরিচালনা করে আসছিলো। এতে ক্ষুদ্ধ ছিলো আহাম্মদ আলী গংরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় ওই মেয়েটি (দুই সন্তানে জননী গৃহবধু) রায়পুর নতুনবাজারের বাসায় অটোসিএনজি চালক স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাড়ী চলে আসে। এসময় রাত ৮টায় গৃহবধু তার বাবার বাড়ীর সামনে সড়কে সিএনজি থেকে নেমে বাড়ীর সামনে পৌঁছলে অভিযুক্ত মোঃ আমিন ও রুবেল মোটরসাইকেলে করে নির্জন স্থানে একটি সুপারি বাগানে নিয়ে যায়।
এসময় চারজন মিলে গৃহবধুকে হাত মুখ বেধে কলাপাতা বিছিয়ে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় ওই রাতেই এএসপি ও ওসির নেতৃত্বে পুলিশ মোহাম্মদ আমিন ও শহীদ উল্লাহকে বাড়ী থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এখবর শুনে রুবেল হোসেন ও জাহাঙ্গির হোসেন পালিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলা রেকর্ডের পরেই পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন ।
আরও পড়ুন— এক ঘণ্টায় ঢাকায় ৩ বাসে আগুন
তবে- এঘটনায় আসামী শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘আমি নির্দোশ। আমাকে জমি নিয়ে বিরোধে এ মামলায় জড়িয়ে খুব হয়রানি করা হচ্ছে। পুলিশ রাত ৩টায় আমাকে আমার বাড়ী থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।’
রায়পুর থানার নবাগত ওসি ইয়াসিন ফারুখ মজুমদার বলেন, ‘ভুক্তভোগী গৃহবধূর অভিযোগ পাওয়ার পরেই দুই আসামিকে তাদের বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের ডিএনএ টেষ্টের জন্য তদন্তকারি অফিসার সুরজিত বাবুকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এদিকে, জেলা আধুনিক হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়েছে। আসামীদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে জানাযায়।